বন্ধ হয়ে গিয়েছিল করোনা পর্বে, কামাখ্যাগুড়িতে পুনরায় চালু হল ট্রেনের স্টপেজ

করোনার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবকিছু থমকে গিয়েছিল। সেই সময় লকডাউন পর্বে স্তব্ধ ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু, করোনা কেটে গেলেও দীর্ঘ সময় ধরে স্টপেজ বন্ধ ছিল আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি স্টেশনে। পুনরায় সেখানে স্টপেজ চালু করল রেল। আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ির জংশন থেকে দুটি ট্রেন অসম পর্যন্ত চলাচল করত। সেই দুটি ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রাখা হয়েছিল কামাখ্যাগুড়ি জংশনে। অবশেষে শনিবার পুনরায় ওই স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে ৬টি দূরপাল্লার ট্রেনে নয়া স্টপেজ দিচ্ছে রেল, ধন্যবাদ শুভেন্দুর

সাধারণত অসমে যাতায়াতের জন্য আলিপুরদুয়ারের বহু মানুষের মূল ভরসা এই ট্রেন দুটি। তবে এই স্টেশনে স্টপেজ বন্ধ হওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন সেখানকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন কৃষকরা। ফলে এই স্টেশনে স্টপেজ চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ট্রেন দুটি সেখান থেকে পুনরায় চালু করেন। এই দুটি ট্রেন হল লামডিং এক্সপ্রেস এবং সিফুং এক্সপ্রেস। দীর্ঘদিন পর পুনরায় স্টপজে চালু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয়রা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন  কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও, মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের ডি আর এম অমরজিৎ গৌতম সহ অন্যান্য রেল কর্তারাও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

উল্লেখ্য, কুমারগ্রাম ব্লকের একমাত্র স্টেশন হল কামাখ্যাগুড়ি জংশন। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রচুর মানুষ ট্রেনে যাতায়াতের জন্য এই স্টেশনের ওপর নির্ভর করে থাকেন। স্টপেজ চালু না হওয়ায় কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভও ছিল স্থানীয়দের। তবে শেষমেষ স্টপেজ চালু হওয়ায় সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলেছে। এছাড়াও দক্ষিণ ভারতে যাতায়াতের জন্য আরও কতগুলি এক্সপ্রেস চালানোর দাবি রয়েছে আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দাদের। সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।  প্রসঙ্গত, এর আগের দিনই কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন পরিদর্শন করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল তৈরি করতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকার এ বিষয়ে সাহায্য করছে না। তাই উড়ালপুল তৈরি সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, এখান থেকে প্রচুর কৃষক অসমে সবজি নিয়ে যান। তাদের সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণে ট্রেনের স্টপেজ চালু করা হয়েছে।