বেড়াল পোষায় আপত্তি স্বামীর, অশান্তির জেরে মানিকতলায় আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী

স্ত্রীর বেড়াল পোষায় আপত্তি ছিল স্বামীর। এই নিয়ে গত দেড় বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল বিবাদ। অবশেষে চরম আকার নিল সেই বিবাদ। বিড়াল নিয়ে অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকতলা থানা এলাকার বিপ্লবী বারীন ঘোষ সরণির একটি আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাটে। মৃতের নাম শিল্পী সাহা (৪১)। একটি লোহার রোডে শাড়ি সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: গড়ফায় প্রবীণ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ‘সুইসাইড নোট’ হাতে পেল পুলিশ

জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল দেড় বছর আগে। তখন শিল্পী দুটি বেড়াল পোষা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী মহাদেব সাহা। পুলিশকে মহাদেব জানিয়েছেন, শিল্পী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সকল সম্পর্কে একেবারেই সচেতন ছিলেন না। বিড়ালের কারণে ঘরবাড়ি নোংরা হতো। সেই কারণে তিনি বেড়াল পোষাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি চাইছিলেন ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে। এনিয়ে তাঁদের মধ্যে নিত্য কলহ লেগেই থাকত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দেড় বছর ধরে বিবাদ চলছিল।সম্প্রতি তাঁদের ১৭ বছরের ছেলে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। মহাদেবের দাবি, বেড়ালের কারণে ঘর নোংরা হওয়ার ফলেই ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তাঁর ছেলে। ফলে তার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে বিবাদ আরও বেড়ে যায়। মহাদেবের দাবি, তাঁর ছেলে তিন দিন ধরে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।  তাঁদের দুই ছেলে। আরেক ছেলে রয়েছে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এইসব নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বাড়ে । রবিবার রাতে মহাদেব হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলে তিনি বেড়াল পোষা নিয়ে স্ত্রীকে বকাবকি করেন। এরপর মহাদেব আবার হাসপাতালে চলে যান।

সোমবার সকালে এক প্রতিবেশী ওই ফ্ল্যাটে অনেক ডাকাডাকি করেও শিল্পীর সাড়া শব্দ পাননি। পরে তিনি অন্যদের খবর দেন। এরপর ফ্ল্যাট থেকে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আবাসনে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মহিলার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।