Cyber crime: ক্যাবের কাস্টমার সাপোর্টের নামে প্রতারণা, ফাঁদে পা দিয়ে ৫ লাখ গায়েব চিকিৎসকের

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। অনলাইনের ব্যবহার যত বাড়ছে ততই সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। নিত্য নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণা করছে প্রতারকরা। এবার সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার অভিযোগ সামনে এল। এবার ক্যাবের কাস্টমার সাপোর্টের আড়ালে সক্রিয় হয়েছে প্রতারণা চক্র। সম্প্রতি গুরগাঁওয়ে এমনভাবেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক চিকিৎসক। তিনি ৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বন্ধ হচ্ছে প্রিপেইড বুথ, এবার হাওড়া স্টেশন থেকে হলুদ ট্যাক্সিতে চাপবেন কীভাবে?

প্রদীপ চৌধুরী নামে ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, তিনি একটি ক্যাব বুক করে গুরগাঁও গিয়েছিলেন। ক্যাব বুক করেছিলেন ২০৫ টাকা ভাড়ায়। কিন্তু, যাত্রা তিনি যাত্রা শেষ হওয়ার পরে ক্যাব চালক তাঁর কাছে ৩১৮ টাকা দাবি করে। তখন চিকিৎসক ক্যাব চালকের কাছে জানতে চান কেন তাঁর কাছ থেকে ১১৩ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে? উত্তরে ক্যাব চালক চিকিৎসককে জানান, তিনি ক্যাব সার্ভিসের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত পেতে পারেন।

এরপর ক্যাব চালকের কথা মতোই ইন্টারনেটে ক্যাব কোম্পানির নম্বর খুঁজে প্যান। এরপর তিনি ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করেন। যে ব্যক্তি চিকিৎসকের ফোন ধরেছিলেন তিনি নিজেকে ওই ক্যাব সংস্থার কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের একজন প্রতিনিধি বলে দাবি করেন। তখন চিকিৎসক তাকে নিজের সমস্যা সম্পর্কে জানান। এরপর চিকিৎসক বাড়তি ১১৩ টাকা ফেরতের দাবি জানান। চিকিৎসকের অভিযোগ, এরপর তার ফোন অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেই সময় যে ব্যক্তি ফোন ধরেছিলেন তিনি নিজের নাম রাকেশ মিশ্র বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।

চিকিৎসক ভেবেছিলেন তাঁর সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু তিনি যে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিতে চলেছেন তা কোনওভাবে টের পাননি। ওই ব্যক্তি চিকিৎসককে রিমোট সেন্সিং অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে বলেন এবং তারপর তাকে ই-ওয়ালেট খুলতে বলেন। পরে চিকিৎসককে ফেরত পাওয়া টাকার পরিমাণ টাইপ করতে বলেন। তারপর তিনি চিকিৎসককে তাঁর ফোন নম্বরের প্রথম ৬ টি সংখ্যা টাইপ করতে বলেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন তা করতে হবে? উত্তরে ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন এটি যাচাই প্রক্রিয়া। এরপর একটি ওটিপি যায় চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক সেই ওটিপি ওই ব্যক্তিকে জানান। তারপরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪.৯ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যায়।

প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক। এর ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে প্রতারকরা সংস্থার জাল কাস্টমার কেয়ার নম্বর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে কেউ সেখানে ফোন করলেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে।  এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে।