PickPocket: বেতনভুক পকেটমার, মাস গেলে স্যালারি পায় ৮০ হাজার, মাথায় হাত মালদা পুলিশের, ওদের থেকে সাবধান!

বাসের দরজায় লেখা থাকে পকেটমার হইতে সাবধান। কিন্তু তার মধ্য়েই কখন যে পকেট ফাঁকা করে দেয় বোঝাই যায় না। এতটাই দক্ষ তারা। তবে এবার মালদা পুলিশের হাতে ঝাড়খণ্ডের পকেটমারদের নিয়ে যে তথ্য় এসেছে তাতে চোখ কপালে না তুলে তো উপায় নেই।

বর্তমান সংবাদপত্রের উত্তরবঙ্গ সংস্করণের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মালদার মানিকচকের গঙ্গার ঠিক ওপারে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থানার মহারাজপুর গ্রাম। সাদা পোশাকে সেই গ্রামে গিয়ে এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন এক পুলিশ আধিকারিক। মানিকচক থানায় পোস্টিং থাকার সময় তিনি এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে যান। সেখানে গিয়েই তিনি জানতে পারেন বেতন পাওয়া পকেটমারদের কথা।

মানে ৭-১০ হাজার বেতনের চাকরি পেতে বাংলায় যেখানে হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন বেকার যুবক যুবতীরা সেখানে ঝাড়খণ্ডের এই মোটা বেতনের পকেটমারদের কথা জানতে পেরে কার্যত হতবাক মালদার ওই পুলিশ আধিকারিক। সেখানকার এক গাড়ি চালকের কাছ থেকে তিনি গোটা বিবরণটা পান। সেখানেই জানতে পারেন ঝাড়খণ্ডের ওই পকেটমার গ্যাংদের কথা।

বর্তমানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০-৮০ হাজার টাকা বেতনের পকেটমার রয়েছে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে। এমনকী নাবালকদের এই পেশায় বেশি চাহিদা। কারণ তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের মায়া একটু বেশি থাকে। ধরা পড়ে গেলেও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে পারে। এমনকী জনতা ধরে ফেললেও মারধর কম পড়ে।

এমনকী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রাজ্যে যে মোবাইল চুরি হয় তার অনেকটাই চলে যায় মহারাজপুরে। তারপর তা প্যাকেটে ভরে মালদা হয়ে পাচার হয় বাংলাদেশে। যত ঝকঝকে মোবাইল তত তার চাহিদা বেশি।

এমনকী গাড়ি বাড়িও আছে পকেটমারদের। টার্গেট বেঁধে কাজ করানো হয়। বেতন নিয়ে কোনও টালবাহানার ব্যাপার নেই। ইনসেনটিভও আছে। তবে এবার প্রশ্ন ওই ঝাড়খণ্ড গ্যাং কি এই বাংলাতেও সক্রিয়? এতদিন জামতাড়া গ্য়াংয়ের কথা শোনা যেত। এখন আবার বেতন পাওয়া মহারাজপুর গ্যাং। গ্রামের নাম যেখানে মহারাজপুুর সেখানে বেশ রাজার হালেই থাকে পকেটমারের দল। তবে বহিরাগতরা খবর নিতে গেলে পরিচয় প্রকাশ হয়ে গেলেই বড় বিপদ!