Russia on Moon Mission: নিজের ‘জমি’ বুঝে নিতে হবে! পরের দশক থেকেই চাঁদে বড় প্রকল্প রাশিয়ার

পরের দশক থেকেই চাঁদে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করবে রাশিয়া। এবার তার প্রাথমিক ঘোষণা করে দিল সেই দেশের সরকার। আগামী দশকের শুরুতেই চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাবে রাশিয়া। এর জন্য ইতিমধ্যেই তোড়জোড় করতে শুরু করে দিয়েছে পুতিনের দেশ। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যম বৈঠকে আরকেকে এনার্জিয়ার ভ্লাদিমির সোলোভিয়ভ এই নিয়ে বিস্তারিত জানান। এই সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাবনাও পেশ করেছে ওই দেশের সংস্থাটি। এর জন্য চাঁদে নিজস্ব ‘বেস’ তৈরি করতেও তৎপর রাশিয়া। সেই ‘বেস’এই ল্যান্ড করবে রাশিয়ার মহাকাশযান। তাতে থাকবে মহাকাশচারীরাও। 

(আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য নিয়ে বড় পরিকল্পনা অ্যামাজনের! ২০০০ কোটির সওদা হবে বিদেশে)

রাশিয়ার এই সংস্থা মহাকাশে মানুষ সমেত উড়ান পাঠাতে বিশেষভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। রাশিয়ার জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘তাস’ খসড়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন ভ্লাদিমির সোলোভিয়ভ। শুধু চাঁদে নিজস্ব ‘বেস’ তৈরিতেই থেমে থাকতে চায় না পুতিনের দেশ। বরং চাঁদের উপাদান বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে খসড়া পরিকল্পনায়।

(আরও পড়ুন: দূষণ কমাতে পেট্রোল নিয়ে বড় পরিকল্পনা! দক্ষিণী দেশগুলিকেও ডাক দিল ভারত)

গত অগস্টেই রাশিয়ার একটি মিশন ব্যর্থ হয়। ৪৭ বছর পর রাশিয়া লুনা-২৫ মিশনটির প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু চাঁদে পৌঁছানোর ঠিক আগের মুহূর্তে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চাঁদের উপর আছড়ে পড়ে ভেঙে যায় ওই মহাকাশযান। 

প্রসঙ্গত, চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন আমেরিকান মহাকাশচারী নিল আর্মস্ট্রং। সেটা ১৯৬৯ সাল। সেই প্রথম চাঁদে পৌঁছাতে সক্ষম হয় কোনও মানুষ। কিন্তু চাঁদে পৌঁছানোর নিরিখে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২ ১৯৫৯ সালে চাঁদের পিঠে অবতরণ করে। এর ৭ বছর পর চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করে রাশিয়ার মহাকাশযান। ১৯৬৬ সালে লুনা-৯ মিশন সফলভাবে চাঁদে মসৃণ ল্যান্ডিং করে। 

প্রসঙ্গত এর আগেও চাঁদের উদ্দেশ্যে মানুষ পাঠিয়েছে রাশিয়া। ১৯৫৯ সালে নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে পা রাখার পরেই শুরু হয়েছিল সেই তোড়জোড়। দুই বছর পর সেই মিশন শুরু হয়। চাঁদের উদ্দেশ্যে পৃথিবী থেকে পাড়ি দেন ইউরিও গ্যাগারিন। তিনিই সেই নিরিখে প্রথম রাশিয়ান ব্যক্তি। ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল চাঁদের পরিমণ্ডলে পৌঁছায় তার মহাকাশযান। কিন্তু সেটি চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেনি। সেই হিসেবে আগামী দশকে প্রথমবার চাঁদে পা রাখতে চলেছে কোনও রাশিয়ান।