Attempt to murder: স্কুলে ঢুকে প্রেমিকার গলায় ছুরি চালাল যুবক, বাঁচাতে গিয়ে আহত মেয়ের বাবা

টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে ঢুকে প্রেমিকার গলায় ছুরি চালিয়ে দিল যুবক। ঘটনায় কিশোরী প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আঘাত পেয়েছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন তার বাবা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতার রসকুণ্ডু হাই স্কুলে। ঘটনার জেরে বাবা এবং মেয়ে দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে বাবা মেয়ে দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন: ভাইফোঁটা নিতে গিয়ে দিদিকে বাঁচিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ভাইয়ের

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রের খবর, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের টানে যুবকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরী। কিন্তু, তা মেনে নেয়নি তার পরিবার। শেষে কিশোরীর বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে ধরে আনে। এরপর কিশোরীকে কিছুদিন হোমে রাখা হয়। পরে আবার তার বাবা তাকে নিয়ে গিয়ে স্কুলে ভর্তি করেন। স্কুলে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা চলছে। বুধবার ছিল টেস্ট পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন। ইংরেজি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়েকে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। সকাল ১০টা নাগাদ মেয়েকে স্কুলে দিতে আসেন নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। ঘটনার সময় তিনি স্কুলেই ছিলেন। স্কুলের দরজায় মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার ঠিক পরেই পিছনের বাথরুম থেকে আচমকা ওই যুবক চলে আসে এবং গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তখন তড়িঘড়ি মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন বাবা। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই যুবক। ঘটনার জেরে দুজনকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যুবক আরও আঘাত করার আগে তড়িঘড়ি স্কুলে থাকা অন্যান্য যুবক ও শিক্ষকরা সেখানে ছুটে আসে এবং তাকে ধরে ফেলেন। পরে ওই যুবককে তারা পুলিশের হাতে তুলে দেন।

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে কিশোরী ঘর ছাড়লেও পুলিশ তাদের উদ্ধার করার পর কিশোরী যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিল। সে প্রেমিকের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চাইনি। তার জেরে গোবিন্দ বিশ্বাস নামে ওই যুবকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রেমে প্রত্যাখ্যান হয়ে ওই যুবক এমন কাণ্ড করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আপাতত ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, বাবা মেয়ে দুজনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।