Teenager Stabs Another: ৩৫০ টাকা না দেওয়ায় নাবালককে ৬০ বার কুপিয়ে খুন কিশোরের! মৃতদেহের পাশে নাচ, হতবাক দিল্লি

আরও এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি। এক ১৭ বছরের নাবালককে ৬০ বার কুপিয়ে খুনের অভিযোগ রয়েছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। যে শিউরে ওঠা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ওই কিশোর রক্তস্নাত মরদেহটিকে টেনে হিঁচড়ে একটি ছোট গলিতে নিয়ে আসছে। মরদেহের মাথায় বারবার লাথি মারছে। দেহ থেকে মাথাটি কেটে ফেলারও চেষ্টা করেছে সে। উত্তর পূর্ব দিল্লির এই হাড়হিম করা খুনের ঘটনার দৃশ্য, গোটা রাজধানীর মানুষের মনে কাঁপুনি ধরিয়েছে।

খোলা রাস্তায় ৬০ বার কুপিয়ে খুন! এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড কার্যত চাঞ্চল্য তৈরি করেছে দিল্লিতে। এক কিশোরের এই কীর্তি অনেকের মনেই তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এমনকি সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, হত্যার পর মরদেহের পাশে সে নাচতেও শুরু করেছিল। ঘটনার অভিযোগ পেয়েই এই ১৬ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, স্কুলের গণ্ডি মাঝপথে ছেড়ে দেওয়া ওই কিশোর মত্ত অবস্থায় ওই খুন করেছে। মঙ্গলবার রাতের ওই খুনের ঘটনায় বুধবার সকলেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই কিশোর এক ঠিকা শ্রমিক পরিবারের সন্তান। বাবা মায়ের সঙ্গেই সে থাকে। জানা গিয়েছে, যাঁকে খুন করা হয়েছে, তিনি স্থানীয় জাফরাবাদের বাসিন্দা। একটি বাড়িতে তিনি পরিচারকের কাজ করতেন। এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই নাবালক। রহস্যের বিষয় এটাই যে, আগে থেকে ওই নাবালককে কিশোর চিনত না। তাকে দিল্লির উত্তর পূর্বের জনতা মজদুর কলোনিতে প্রথমবার দেখে কিশোর। দেখা মাত্রই ওই নাবালকের থেকে ৩৫০ টাকা চায় কিশোরটি। নাবালক তা দিতে অস্বীকার করে। এরপরই নবালককে খুন করে কিশোর। 

  স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যাকে ওই কিশোর চিনতা না, তার কাছ থেকে কেন সে ৩৫০ টাকা চেয়েছিল। জানা যাচ্ছে, বিরিয়ানি খেতে চেয়ে ওই নাবালকের থেকে আচমকা ৩৫০ টাকা চায় সে। নাবালক টাকা না দেওয়ার পরই দুজনের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। তারপরই ওই নাবালককে গলা টিপে মারে সে। এরপর তার গলা কাটতেও চেষ্টা করে অভিযুক্ত। খুনের পরবর্তী পর্যায়ে ভয়াবহ কিছু দৃশ্য দেখা যায়। জানা গিয়েছে, রাজধানীতে রাত ১০.২০ মিনিট নাগাদ ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে মঙ্গলবার। ভিডিয়োয় দেখা যায়, মরদেহে বহুবার লাথি মারছে কিশোর। এদিকে, পরে সে মৃতদেহটি ছেড়ে চলে যেতে দেহ নিয়ে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করলে, নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।