Chandrayaan 3: চন্দ্রযান ৩ কপাল খুলে দিল ইঞ্জিনিয়ারের, রাতারাতি ধনকুবের ৬০ বছরের প্রৌঢ়

চন্দ্রযান ৩ প্রকল্প। মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের এই সাফল্য কার্যত নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। তবে শুধু যে ভারতকে সাফল্য়ের চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত করেছে সেটাই নয়, রমেশ কুনহিকান্নানকে একেবারে বিরাট ধনী করে দিয়েছে এই অভিযান। কিন্তু কীভাবে?

আসলে তিনি হলেন মাইসোরের কেইনস টেকনোলজির ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রতিষ্ঠাতা। ওই কোম্পানিই চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পে যন্ত্রপাতি সরবরাহের বরাত পেয়েছিল। তাঁর কোম্পানি মূলত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিল। রোভার ও ল্যান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকা ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিল তার কোম্পানি। ফোর্বসের রিপোর্টে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

৬০ বছর বয়সি ওই ইঞ্জিনিয়ারের ভাগ্য়ের চাকা ঘুরিয়ে দিল চন্দ্রযান ৩। সূত্রের খবর, গত ১০ মাসের মধ্য়ে Kaynes Technology ltd শেয়ার একেবারে তিনগুণ হয়ে গিয়েছে। গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এই কোম্পানির শেয়ারদরের তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে এই কোম্পানির স্টক প্রতি বিক্রি হত ৭৫০-৮০০ টাকায়। আর ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর প্রতি স্টক বিক্রি হয়েছে ২৪৫০ টাকা দরে।

সেই ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মাইসোরের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে তাঁর প্রায় ৩৩ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। কোম্পানির তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চন্দ্রযান ৩ মিশনের অনেক আগে থেকে ইসরোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। আমরা ইসরোকে নানা যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে থাকি। আমরা আগামীদিনেও এই ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারলে ধন্য মনে করব। আমরাও ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির গর্বিত অংশীদার।

আসলে একেই বলে কপাল খুলে যাওয়া! গোটা দেশ যেমন নজর কাড়ল বিশ্বের তেমনি রাতারাতি বিরাট বড়লোক হয়ে গেলেন ৬০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি। তিনিও চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য়ের অংশীদার। চন্দ্রযান প্রকল্পে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিল তার কোম্পানি। আর তার জেরেই তাঁর সম্পদের বিরাট উন্নতি।