India’s first woman judge of SC dies: ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি, ৯৬ বছরে প্রয়াত জাস্টিস ফতিমা বিবি

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ফতিমা বিবি প্রয়াত হলেন বৃহস্পতিবার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৯৬ বছর। কেরলের কোল্লমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় জাস্টিস ফতিমার। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী থেকে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি। তিনবছর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও তিনি তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। (আরও পড়ুন: কতটা বৈধ রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত আইন, খতিয়ে দেখতে পারে ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ)

আরও পড়ুন: ‘আমায় হেনস্থা করতে…’, প্রাক্তন CJI-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক HC-র বিদায়ী প্রধান বিচারপতি

জাস্টিস ফতিমাকে নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ন সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘ভারতের উচ্চতর বিচার ব্যবস্থায় বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা প্রথম মুসলিম মহিলা ছিলেন জাস্টিস ফতিমা। তাঁর সময়কালের সামাজিক বাধাগুলিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সমাজের সকল নেতিবাচক দিককে দূরে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। তাঁর জীবন সবার কাছেই অনুপ্রেরণা। বিশেষ করে মহিলাদের জন্যে।’ এদিকে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জও শোকপ্রকাশ করেন জাস্টিন ফতিমার প্রয়াণে। এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি একজন সাহসী মহিলা ছিলেন। তাঁর নামে অনেক রেকর্ড ছিল। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি তাঁর নিজের জীবনের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন যে ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় থাকলে এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকলে যেকোনও প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা সম্ভব হয়।’

আরও পড়ুন: ১৭ অক্টোবরের সুপ্রিম রায়ে বৈধতা পায়নি সমকামী বিবাহ,৩৭ দিন পর রিভিউতে সায় আদালতের

জাস্টিস ফতিমা ১৯২৭ সালের এপ্রিল মাসে কেরালার পাঠানমথিট্টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ত্রিভান্দ্রমের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন এবং ত্রিভান্দ্রমের আইন কলেজে থেকে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি ১৯৫০ সালের নভেম্বরে একজন অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত হন। পরে ১৯৭৪ সালে জেলা ও দায়রা জজ হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে তিনি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এর এক বছর পরেই তিনি স্থায়ী ভাবে উচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে উন্নীত হন। এর ফলে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি ১৯৯২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর, ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। পরে তিনি ২০০১ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হয়েছিলেন।