Uttarkashi Tunnel Rescue Op Latest Update: উত্তরকাশীর টানেলের উদ্ধার অভিযানে কালনা যোগ, কবে ৪১ শ্রমিককে বের করে আনা যাবে

উত্তরকাশীর টানেলে বিগত ১২ দিন ধরে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ শ্রমিক সহ ৪১ জন। তাদেরকে উদ্ধার করতে দিনরাত কাজ চলছে সেখানে। কীভাবে নিরাপদে এই ৪১ জনকে খোলা আকাশের নীচে ফের নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে দিনরাত ভেবে চলেছে উদ্ধারকারী দল। এই আবহে ডাক পড়েছিল কালনার এক সংস্থার। অভিযানে তাই যুক্ত হয়েছে বর্ধমানের নাম। জানা গিয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য যে টানেল তৈরি করা হচ্ছে, তাতে একটি বিশেষ ধরনের পাইপ ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলোর নাম – ইন্টারমিডিয়েট জ্যাকিং স্টেশন। এই পাইপগুলি তৈরি হয়েছে কালনার বৈদ্যপুরে। (আরও পড়ুন: বকেয়া DA, নয়া বেতন কমিশনের পর দাবি OPS-এর, ধর্মঘটের পথে হাঁটতে পারেন রেলকর্মীরা)

এদিকে গতকাল সিল্কিয়ারা টানেলের ড্রিলিং ফের থমকে গিয়েছিল। আজ ফের তা নতুন করে শুরু হবে। জানা গিয়েছে, মাটিতে যে জায়গায় ড্রিলিং মেশিনটি রাখা হয়েছে, তাতে ফাটল ধরার জেরেই সাময়িক ভাবে উদ্ধারকাজ বন্ধ করতে হয়েছিল। এদিকে যন্ত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে টানেলে যেখানে ড্রিলিং হবে, সেখানে আগামী ৫ মিটারের মধ্যে কোনও ধাতব পদার্থ নেই। তাতে উদ্ধারকাজ মসৃণভাবে এগিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: BGBS থেকে বড় ঘোষণা কোকা-কোলার, বাংলার চা বোতলজাত হয়ে পৌঁছবে বাজারে

উল্লেখ্য, টানেলে আর মাত্র ১৪ মিটার পর্যন্ত যেতে হবে ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ সন্ধ্যাতেই আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যাবে বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর কুলবে। এদিকে সিল্কিয়ারা টানেলের উদ্ধারকার্য প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক টানেলিং বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেন, ‘গতকাল সকালে আমরা ভেবেছিলাম শ্রমিকদের বের করা যাবে, দুপুরেও তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু পাহাড়গুলো পরিস্থিতি ভালো করে বুঝতে হবে আগে। এই নিয়ে ড্রিলিং মেশিনটা তিন-তিন বার ভেঙেছে।’ কবে ওই ৪১ জন শ্রমিকদের বের করা সম্ভব হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যাবে, তা নিশ্চিত বলতে পারব না। তবে এবছর বড়দিনের আগেই তা হবে! আর শ্রমিকরা ভালো আছেন, নিরাপদে আছেন।’

রিপোর্ট অনুযায়ী, সিল্কিয়ারা এবং দন্ডলগাওঁয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল এই টানেলটি। গত ১২ নভেম্বর খুব ভোরে সেই টানেলে ধস নামে। এই গোটা টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা বলে জানা গিয়েছে। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধসটা নামে ভোর ৪টে নাগাদ। জানা গিয়েছে, টানেলের সামনের দিক থেকে ভিতরের দিকে প্রায় ১৫০ মিটার জমি ধসে পড়ে ওপর থেকে। অর্থাৎ, টানেলের ছাদ ধসে পড়ে। তাতেই আটকা পড়ে যান শ্রমিকরা। প্রসঙ্গত, ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কটি চারধাম রোড প্রোজেক্টের অংশ। এই সড়ক সারা বছর সব ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চালু থাকার কথা। এই সড়কটি তৈরি হলে উত্তরকাশি এবং যমুনোত্রীর মধ্যে যারাপথ ২৬ কিলোমিটার কমে আসবে।