‘চক্রান্তের এক চিত্রনাট্য’! মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে বলল তৃণমূল

নগদ নিয়ে সংসদের প্রশ্ন করার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রে এও খবর, ‘লোকপালের নির্দেশেই’ এই তদন্ত শুরু হয়েছে। সাংসদদের বিরুদ্ধে এই ধরনের তদন্ত শুরু করাকে বিজেপির ‘চক্রান্তের চিত্রনাট্য’ বলে নিন্দা করেছে তৃণমূল।

মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের খবর প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল এর তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আবার একই চিত্রনাট্য, অর্থাৎ বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে পারছে না। বিজেপি-বিরোধী কণ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করে এক-এক রকম গল্প তৈরি করে যেভাবে তৃণমূল নেতৃত্বকে টার্গেট করে হেনস্থা করা হচ্ছে, সেভাবেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে নামানো হয়েছে। সিবিআইকে নামিয়ে বিজেপি কাদা ছোড়াছুড়ি করছে।

একই সঙ্গে কুণাল বলেন, ‘এজেন্সি দিয়ে বাংলার মাটিতে এই চক্রান্ত সফল হবে না। বাংলার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা, বৈষম্য রাজনীতির যে চিত্রনাট্য চলেছে, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে নামিয়ে তারই পুনরাবৃত্তি করা হল।’

(পড়তে পারেন। ‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ ইস্যুতে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল সিবিআই- সূত্র)

যদিও তৃণমূলের একাংশের অভিমত, এখনও লোকপালের ওয়েবসাইটে আসেনি এই নির্দেশ। আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ সব ছড়ানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দিন দু’য়েক আগেই মহুয়া প্রসঙ্গে মুখ খোলেন দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সভা থেকে তিনি বলেন, ‘এদের (বিজেপির) প্ল্যান এখন মহুয়াকে তাড়ানো! তিন মাস আর বাকি আছে (লোকসভার মেয়াদ শেষ হতে)। মহুয়া যেগুলো ভিতরে বলত, এ বার সেগুলোই বাইরে বলবে। মূর্খ না হলে ভোটের তিন মাস আগে কেউ এই কাজ করে।’ তার ঠিক দু’দিন পর মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল সিবিআই।