থানায় নালিশ জানাতে এসে আইসি-র গালিগালাজের মুখে অভিযোগকারী, মারধরেরও অভিযোগ

অভিযোগকারীর অভিযোগ নিতে গিয়ে মেজাজ হারালেন নাকাশিপাড়া থানার আইসি।এমন কি অভিযোগকারীকে গালিগালাজ এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে আইসি বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইসি।

শুক্রবার থেকে আইসি বিশ্বজিৎ ঘোষের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। ভিডিয়োর দেখা যাচ্ছে, আইসি নিজের ঘরেই এক অভিযোকারীকে গালিগালাজ করতে করতে মারমুখী হয়ে তেড়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগকারী নাকাশিপাড়া ব্লকের হরনাথ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হাসেন শেখ। পেশায় দিন মজুর। বয়স পঁয়তাল্লিশের আশেপাশে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ি থেকে পোষা পায়রা চুরি যায়। গ্রামের দুই যুবক ওই পায়রা চুরি করেছে বলে নিকাশি পাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান হাসেন। ওই দুই যুবককে ধরে পুলিশে হাতে তুলেও দেওয়া হয়।

কিন্তু থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেল আইসি তেড়ে আসেন। যদিও নাকাশি পাড়া পুলিশের দাবি, পায়রা চুরির অভিযোগে, মেছের শেখ নামে এক ব্যক্তিকে তুলে এনে মারধর করেন হাসেন ও তাঁর সঙ্গীরা। জানতে পেরে, পুলিশই তাঁকে উদ্ধাকরে নিয়ে যায়।

এর পর কয়েক জনকে নিয়ে থানায় হাজির হন হাসেন। তিনি অভিযোগ জানাতে গেলে, থানার ডাউটি অফিসার তাঁকে জানান, আইসি-র সঙ্গে দেখা করতে। তিনি মোবাইল ভিডিয়ো অন করেই আইসি-র ঘরে ঢোকেন। তা দেখেই আইসি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

পুলিশের দাবি, আইসি কাউকে মারধর করেনি। মোবাইল ক্যামেরা চলছে দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

কেন মোবাইল ক্যামেরা চালিয়ে থানা ঢুকে হাসেন শেখ তাও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। তিনি বলেন, আগেও একটি বিষয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। তাই এবার এক সঙ্গীর মোবাইল অন করে আইসি-র ঘরে ঢোকেন। যদিও হাসেনের নিজস্ব কোনও মোবাইল নেই।

তবে আইসি বিশ্বজিৎ ঘোষ সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওঁদের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু ওঁরা পায়রা চুরির অভিযোগ জানান। আমি অভিযোগ দায়ের করতে বলি। ওঁদের মোবাইলে ভিডিয়ো করতে দেখে আমি উত্তজিত হই। আমার উদ্দেশ্য খারাপ থাকলে আমি মোবাইলে কেড়ে বাজেয়াপ্ত করতে পারতাম।’

শুক্রবার কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের কাছে এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাসেন শেখ। পুলিশ সুপার কে অমরনাথ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।