রূপনারায়ণের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ, পানীয় জল নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয়রা

রূপনারায়ণ নদের জলে আবারও বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ যেখানে নদের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরা হয়েছে সেখান থেকে অদূরে অবস্থিত জলশোধন প্রকল্প। সেই জলশোধন প্রকল্প থেকে এলাকায় জল সরবরাহ হয়ে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পানীয় জল নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের পাইকবাড়ি এলাকায় নদের জলে প্রচুর মাছ মৃত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। তাতেই তাদের সন্দেহ নদের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরেছে দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুন: TMC নেতার ভেড়িতে বিষ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ ISF-এর বিরুদ্ধে

স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাইকবাড়ি এলাকায় ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল নদের জলে বিষ মিশিয়ে প্রচুর মাছ ধরে। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে সকালে রূপনারায়ণের জলে প্রচুর মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এলাকায় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল সেখানে এসেছিল। শুক্রবার সকালে ইটভাটার লোকজন গ্রামবাসীদের সে কথা জানিয়েছিলেন। এরপর গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে প্রচুর মাছ মৃত অবস্থায় দেখেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় খবর পেয়েছে পিএইচই। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের বক্তব্য পিএইচি বা স্থানীয়দের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

তবে নদীর জলে বিষ মেশানোকে কেন্দ্র করে পানীয় জল নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়, চলতি গত ৬ নভেম্বর রাতে কোলাঘাটের ছাতিন্দা জল প্রকল্প এলাকায় নদের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয়দের দেখতে পেয়ে দুষ্কৃতীরা বাইক ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও নদের বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ উঠল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে এলাকায় নদের জলে মাছ ভেসে থাকতে দেখা গিয়েছে তার কিছুটা দূরে রয়েছে ছাতিন্দা জল প্রকল্প। এই প্রকল্পে জল শোধন করে গোটা কোলাঘাট অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ফলে জলে বিষ থাকলে সে ক্ষেত্রে বিপদ হতে পারে। তাই পানীয় জল নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

যদিও রূপনারায়ণ নদের জলে বিষ মিশিয়ে মাছ ধরার ঘটনা এই নিয়ে তিনবার ঘটল বলে দাবি স্থানীয়দের।  এর আগে  নদের জলে বিষ মেশানোর ঘটনায় ৩ দিন জল সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল পিএইচই। ফের নতুন করে নদের জলে বিষ মেশানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তমলুকের পিএইচই-র আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।