Antimicrobial Resistance Increasing Health Threat Worldwide And India, Experts Opinion ABP Live Exclusive

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR )।  মেডিক্যাল টার্ম হিসেবে কঠিন হলেও সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে।  জনস্বাস্থ্যের কথা বিচার করে বলতে গেলে ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স। আশঙ্কা আগামী ২ থেকে আড়াই দশকের মধ্যে এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে লাফিয়ে লাফিয়ে। ABP Live র সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় চিকিৎসক কুমারদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (CONSULTANT IN INTERNAL MEDICINE AT RUBY GENERAL HOSPITAL)। 

অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল এবং অন্যান্য অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালগুলি সারা বিশ্বে বহু কঠিন রোগকে হারিয়ে লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচায়। কিন্তু এই ওষুধগুলিই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের কারণে তাদের কার্যকারিতা হারাচ্ছে যাকে বলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স । 

Antimicrobials medicine বলতে আমরা কী বুঝি ? 
– অ্যান্টিফাঙ্গাল ( antifungals )
– অ্যান্টিবায়োটিকস (  antibiotics )
– অ্যান্টিভাইরালস (antivirals ) 
– অ্যান্টিপ্যারাসাইট ( antiparasitics)

শরীরে অণুজীবদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করা দরকার। একেক রোগের কারণ একেকটা। কারণ অনুযায়ী দিতে হয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালস। এবার কোনও কারণে শরীরে যখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে যায়, তখন এই সব জীববদায়ী ওষুধও বিপদের সময় কাজ করে না। এই সমস্যাটাই এখন সারা পৃথিবীর কাছে মহাসঙ্কট।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কী?  
Antimicrobials medicine  তো আদতে এই জীবাণুদের শত্রু। কিন্তু বারবার Antimicrobials medicine নিতে নিতে, শত্রু চেনা হয়। আর শরীরে বাসা বাঁধা অণুজীবরাও প্রাকৃতিকভাবে জিনগতভাবে বিবর্তিত হয়। তখনই তৈরি হয়ে যায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স।

কেন তৈরি হয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স  ?
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি অনিবার্য। তবে প্রেসক্রিপশনের অতিরিক্ত এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের অনুপযুক্ত ব্যবহার একটি বড় ভূমিকা পালন করে। দেখা গিয়েছে ইদানীং কালে মানুষ যেভাবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই  অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাচ্ছে, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় বা অনুপযুক্ত।

এই সমস্যাটি সারা বিশ্বে তো বটেই, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দেখা যায় থাবা চওড়া করছে খুব দ্রুত। কারণ এখনও বেশিরভাগ দোকানে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি  প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কিনতে পাওয়া যায়।  এর ফলে ব্যবহার বাড়ছে যথেচ্ছ। ইদানীং ভাবাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অনুপযুক্ত ব্যবহারও।

বছরের পর বছর ধরে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে আগামী দিনে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। ১৯৪৩ সালে, পেনিসিলিন আবিষ্কার হয়, যা দেখতে গেলে  বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ  প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক।  যুগান্তকারী আবিষ্কার ও যুগান্তকারী ফলাফল, নিঃসন্দেহে। এরপর ১৯৬৪ সালে, আইডিএসএ-এর প্রথম প্রেসিডেন্ট ম্যাক্সওয়েল ফিনল্যান্ড (IDSA’s 1st president Maxwell Finland) অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিপদ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করেছিলেন। এর কালো ছায়া দেখা গেল যখন ১৯৬৫ সালে, পেনিসিলিন প্রতিরোধী নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়তে লাগল হু হু করে। ১৯৬৮ সালে, বোস্টন হাসপাতালে এমআরএসএর (MRSA infection) প্রথম কেসটি ধরা পড়ল।

এরপর একের পর এক সমস্যা দেখা যেতে লাগল যা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে আটকানো যাচ্ছে না।  ১৯৮৮ সালে VRE , তারপর ২০০০ সালে, XDR টিবি । ২০০৫ – ২০০৬ সাল নাগাদ দেখা গেল, অ্যাসিনিটোব্যাক্টর এবং সিউডোমোনাসের স্ট্রেন ( acinetobacter and pseudomonas ) কার্যত সমস্ত পরিচিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। ২০০৮  সালে দেখা গেল NDM1 (NDM-1 হল এক ধরনের প্রোটিন যা নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে, যা কিনা তাদের অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট করে তোলে) কার্যত ব্যাকটেরিয়াকে দুটি বৃহত্তম এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ প্রতিরোধী করে তুলেছে। এরপর ২০১২ সালে, CRE এর প্রাদুর্ভাব ঘটে। তারপর ২০১৫ সালে NAP- National Action Plan নেওয়া হল এই ক্রমবর্ধমান সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য। 

এখন চিকিৎসকরা যে যে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের উপরে সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছেন সেগুলি হয় – CRAB, DR Candida, CRE, ESBL উৎপাদনকারী Enterobacteriaceae, VRE, MRSA এবং মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট P.aeruginosa।

নানাভাবে এই রেজিস্ট্যান্স তৈরি হতে পারে। যেমন,

  • জীবাণু নতুন কোষ তৈরির কৌশল নেয়।
  • এনজাইম, প্রোটিন ইত্যাদি দিয়ে ওষুধের কর্মক্ষমতা প্রতিহত করে।
  • শরীরের কোষে কোষে পৌঁছে ওষুধ যেভাবে কাজ করত, সেই দরজা গুলোই বন্ধ করে দেয় জীবাণু। এমন নানারকম পদ্ধতি রয়েছে।

এবার কোনও অ্যান্টিবায়োটিক সেই জীবাণুর উপর কতটা সক্রিয় তা বোঝা যাবেই বা কীভাবে ? বোঝার উপায় হল Antibiotic susceptibility testing। 

২০১০ সালে ভারতই সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল। ২০২৯ সালে দেশে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল  বিক্রি নিয়ন্ত্রণের জন্য Drug and Cosmetic rules আরও কড়া হয়েছে।  এখন কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে দেশ। তার মধ্যে  প্রধান হল, এই বিষয়ে সকলকে সচেতন করা , শিক্ষিত করে তোলা, নজরদারি বাড়ানো, এই বিষয়ে মানুষের  জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং এর ফলাফলে শক্তিশালী  প্রমাণ তুলে ধরা। এবং এই সংক্রান্ত প্রচারে বিনিয়োগে বাড়ানো। 

Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )

Calculate The Age Through Age Calculator