Dilip Ghosh: ঋদ্ধিমানরা কেন অন্য রাজ্য থেকে খেলেন, কেন ভারতীয় দলের রাজ্যের কেউ নেই? দিলীপ

আমদাবাদে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল খেলা হয়েছে বলেই হেরেছে ভারত। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপবাবু পালটা প্রশ্ন তোলেন, কেন ঋদ্ধিমানরা অন্য রাজ্যের হয়ে খেলেন। কেন ভারতীয় ক্রিকেট দলে পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি নেই?

এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘যাদের ক্রিকেটের জন্য কোনও চিন্তা নেই, কোনও অবদান নেই, কেন ক্রিকেটে পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি নেই। IPL-এ বা ক’জন খেলে? ১০০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে? কোনও ইস্যু নেই। এখন রাজনীতি করতে হবে তাই। ইডেনে কি এর আগে ক্রিকেট হয়নি? এর আগে যে বার শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ জিতল সেবার তারা ভারতকে সেমি ফাইনালে হারিয়েছিল। সেবার কী অবস্থা হয়েছিল ম্যাচের? ম্যাচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এলেই এখানে জিতে যাবে না কি? টিম হেরেছে তার কারণ পর্যালোচনা হচ্ছে। কিন্তু ওখানেই তো ভারত পাকিস্তানকে হারিয়েছে এক সপ্তাহ আগে। যারা রাজনীতি ছাড়া কিছু বোঝেন না তারা এই ধরণের কথা বার্তা বলেন’।

মমতাকে পালটা আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন। আমাদের ভালো ভালো ছেলেরা তাদের সম্মান দেওয়া হল না। রাখা হল না। ঋদ্ধিমান সাহা থেকে আরও অনেকে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলছে। আর যাকে নিয়ে এখন মাতামাতি করছেন সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সম্মান দিতে এতদিন সময় লাগল কেন? তাকে অবলম্বর করে তৃণমূল বেঁচে থাকতে চাইছে। ক্রিকেটকে এখানকার তৃণমূল কতটা সম্মান দেন সেটা এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে’।

বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইন্ডিয়ার ফাইনাল যদি কলকাতায় বা ওয়াংখেড়েতে হত আমরা জিততাম। আমাদের ছেলে মেয়েরা এত ভালো খেলাধুলায়। সব গেরুয়া পরিয়ে দিয়েছে। এমনকী খেলতে গিয়ে বলেছিল নীল পরা যাবে না। প্লেয়ারদের আপত্তিতে সেটা খাটেনি। তাও দেখবেন নীলের মধ্যে একটু গেরুয়া লাগিয়ে দিয়েছে। পাপিষ্ঠরা যেখানে যাবে… পাপে কখনও বাপেরেও ছাড়ে না’।