Kunal Ghosh: ‘দেহত্যাগ না করা পর্যন্ত পদত্যাগ নয়…’ মমতা-অভিষেকের মধ্য়ে সত্যিই কি সংঘাত? মুখ খুললেন কুণাল

সত্যিই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে? বয়সকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলেছেন নেত্রী। তারপর কি সেই সংঘাত বাড়ছে? বাংলার রাজনীতিতে এনিয়ে নানা চর্চা চলছে। তবে এবিপি আনন্দে তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে মমতা বনাম অভিষেক নয়, মমতা ও অভিষেক। সেই সঙ্গেই কুণাল জানিয়েছেন, সিপিএমের মতো হয়ে গেলে চলবে না। দেহত্যাগ না করা পর্যন্ত পদত্যাগ করব না এমন মানসিকতা ঠিক নয়। দলের নিজেদের ভূমিকা বদলের ব্যাপারে কখন কোথায় থামতে হবে সেটা প্রবীণদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আর শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে কুণালের ব্যাখা, সত্যি কথা বলতে শুভেন্দু মমতাদির প্রোডাক্ট। তৃণমূলের থাকার সময় তাঁকে সব ক্ষমতা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বানিয়েছিলেন মমতাদি। আর এখন বিজেপিতে তিনি শুভেন্দু অধিকারী হলেন কী করে? কারণ নন্দীগ্রাম আর লোডশেডিং।

অন্যদিকে পিসি-ভাইপোর মধ্য়ে লড়াইয়ের কোনও ব্যাপার নেই সেটাকেই জানিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গেই বয়সকে গুরুত্ব না দেওয়া নিয়ে নেত্রীর মতামত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কুণাল।

এখানেই থামেননি কুণাল। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কোনও ছবি ছিল না। এদিকে চোখের সমস্যার জন্য় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ছিলেন না মিটিংয়ে। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কিছুক্ষণের জন্য় অভিষেক ছিলেন।

তবে মমতা ও অভিষেকের প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, মমতাদি বনাম অভিষেক নয়, মমতা ও অভিষেক। দুজনেই দলের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। অভিষেক ছাড়া মমতাদি অসম্পূর্ণ। সেই সঙ্গেই কুণাল স্পষ্ট করে দেন, এখন অভিষেকের ছবি ছাড়া তৃণমূলের মঞ্চ অসম্পূর্ণ। এটা হতে পারে না। এটা ঠিক হয়নি। অভিষেক না থাকলে মমতাদি একলা পারবেন না তা যেমনটা নয়, তেমনই তৃণমূল না করলে অভিষেকের চলবে না এমনটাও নয়।

আর অভিষেকের ছবি না থাকা প্রসঙ্গে কুণাল আরও বলেন, অভিষেকের ছবি কারা বাদ দিয়েছেন তা আমি বলতে পারব না। তবে যাঁরাই এটা করে থাকুন ঠিক করেননি।

আরও স্পষ্ট করে কুণাল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমাদের নেত্রী। তিনিই দলের সম্পদ। তাঁর মুখ দেখেই মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেন। তা যেমন ঠিক তেমনই এটা ঠিক যে অভিষেক অনেক পরিশ্রম করে অনেক আত্মত্যাগ করে উঠে এসেছেন। ব্যাপারটা কখনও মমতাদি বনাম অভিষেক নন। ব্যাপারটা মমতা এবং অভিষেক। একজনকে ঘিরে আবেগ রয়েছে। আর একজন সময়ের কথা বিবেচনা করে দলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা দেখছেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, যুবদের অনুপ্রাণিত করা, রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কাজ করছেন।