Murshidabad: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়ে রাতভর অত্যাচার, বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী কিশোরী

ফের নির্মম কাণ্ড মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সারারাত চলল শারীরিক অত্যাচার। সকাল হতেই কেরোসিন ঢেলে আত্মঘাতী হলেন নাবালিকা কিশোরী। কান্দি থানার অন্তর্গত যশোহরী এলাকার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে শনিবার দুপুরে

অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় ২ যুবক। অভিযোগ, সারা রাত তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায় তারা। গভীর রাতে নাবালিকাকে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেয় তারা। শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মঘাতী হন কিশোরী। পরিবারের লোকজন তৈরি করি কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত নাবালিকার মায়ের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় খরগ্রাম থানা এলাকার চন্দ্রসিংহবাটি গ্রামের জুয়েল শেখ নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মেয়ের। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় জুয়েল ও তার এক সঙ্গী। অভিযোগ, নিজের বাড়িতে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়ার পর জুয়েলের মা তাকে প্রশ্ন করে, বাড়ি থেকে টাকা – গয়না কিছু এনেছো? কিশোরী জানায় না। এর পরই তাঁর ওপর নির্মম অত্যাচার শুরু করে জুয়েল ও তার পরিবার। শারীরিক ও মানসির অত্যাচার চালানো হয় কিশোরীর ওপরে। রাত ৩টে নাগাদ কিশোরীকে বাড়ি থেক বের করে দেয় জুয়েল। কিশোরীকে মাঝ রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিজনরা। বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনার কথা পরিবারকে জানায় কিশোরী। ভোর হলে বাড়ির বাইরে চা খাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ঘরে একা ছিলেন কিশোরী। তখনই কেরোসিন ঢেকে আত্মঘাতী হন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় মৃত কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জুয়েল শেখসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।