Antibiotic resistance: মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েই বাড়ছে বিপদ! কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের

হালকা জ্বর সর্দি কাশি হোক বা গায়ে ব্যথা। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই মুড়ি-মুড়কির মতো অনেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খান। এই অভ্যাসে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে অনেকেরই। কারণ যেমন খুশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে মাল্টি-ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া। তাই এই ব্যাপারে কড়া সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির উপরে এবার থেকে নজরদারি চলবে। কৃষি, পোলট্রি, মৎস্য পালনেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধ করতে তৎপর হবে দফতর।

(আরও পড়ুন: যৌনসুখে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে শীত! ৪ রোগই কালপ্রিট পুরুষদের জন্য)

কিছু দিন ধরেই  বিষয়টি রাজ্যের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির নজরে এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় কিছু রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধেছে। ফলে সংক্রমণ কমাতে বেশি ডোজ বা দামি অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করতে সচেতনতা সপ্তাহ পালন করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

শুক্রবার রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর, মৎস্য দফতর ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির উপরে নজরদারি বাড়ানো হবে বলে সূত্রের খবর। কৃষি, মুরগি, মৎস্য চাষে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি মাসে এই নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। 

(আরও পড়ুন: অল্পতেই মাথা গরম, তুমুল চোটপাট! ঘন ঘন রাগ চড়ে যায় এই ৫ রাশির)

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সদস্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দেশবাসী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন। তাঁদের এক বড় অংশ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক খান। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ খাদ্যদ্রব্যের মধ্যেও যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই প্রবণতা দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে বাড়ে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স। এর কারণে ২০৫০-এর মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। সেই কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সদস্য ভাস্করনারায়ণ চৌধুরীও। রাজ্যের প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইন্দ্রনীল সামন্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে স্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য, পরিবেশসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে এক ছাতার তলায় আসতে বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরিমাণ বেঁধে দিলেও রফতানি করা মাছের ক্ষেত্রে অনেক সময় তা মানা হয় না। এর জন্য আরও কড়া নজরদারি প্রয়োজন।