AYUSH Suswasthya Kendra: রং-এর গেরোয় আটকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাকা, নবান্নের বারবার আর্জিতে গলছে না বরফ

রাজ্যে ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও মেলেনি কেন্দ্রের টাকা। ছ’মাস আগে তৈরির খরচ স্বাস্থ্যমন্ত্রককে পাঠালেও সেই টাকা আসেনি। ফলে তালাবন্ধ হয়ে পড়ে আছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি অধিকাংশ। যে কটি খোলা রয়েছে, সেগুলিতে দুবেলা ঝাঁট দেওয়ারও লোক নেই।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি একটি জরুরি বৈঠক করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠকের বাজেট বর্হিভূত ভাবে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের না পেলে এভাবে সমাধান হবে না। তাই অবিলম্বে টাকা দিতে স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে।

রাজ্যের অভিযোগ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই তেলেঙ্গানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর-সহ ১৩ রাজ্যকে চিঠি ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ (তৈরির খরচ) ছাড়া প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে আটকে রাখা হয়েছে খরচের টাকা। যার অঙ্ক ৮২৬.৭২ কোটি টাকা। আটকে রাখা হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বকেয়া তিন হাজার কোটি টাকা।

সম্প্রতি অর্থ কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠকে করেছিলেন রাজ্যে আধিকারিকরা। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অর্থ কমিশনের আধিকারিকরা বারবার প্রশ্ন করছেন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের রং নিয়ে। শুরুতে রং নিয়ে কোনও শর্ত না চাপালেও পরে বলা হয়, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের রং গেরুয়া করতে হবে।

(পড়তে পারেন। বন্দিদের খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখতে দৈনিক বরাদ্দ বাড়াতে চলেছে লালবাজার)

এছাড়া অসংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসার জন্য ছ’টি বৃত করে রোগের নাম লিখতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিদর্শক দল বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে রিপোর্ট দেয়। সেই রির্পোট মানতে হলে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে ভাঙতে হবে।

কয়েকটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রং বদল করা হলেও বেশির ভাগ কেন্দ্রের নির্দেশ মানা হয়নি। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়,’সম্ভবত কেন্দ্রের আধিকারিকরাও রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন। না হল সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের রং কী হবে তা নিয়ে কেন বারবার প্রশ্ন উঠবে। রাজ্যের আধিকারিকরা সব তথ্য পেশ করলেও তাঁরা চুপ করে থাকেন।’

কেন্দ্র-রাজ্যের এই টানাপোড়েনে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ভিড় বাড়ছে ব্লক হাসপাতালও প্রথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে।