BJP Bijoya Sammilani: বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ, উত্তপ্ত উত্তর হাওড়া

বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়া। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর হাওড়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে রেগে কাঁই তাপস চট্টোপাধ্যায়

জানা গিয়েছে, রবিবার উত্তর হাওড়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বিজেপি নেতার বাড়িতে বিজয় সম্মিলনী চলছিল। বিজেপির অভিযোগ, বিজয় সম্মিলনী উপলক্ষে সেখানে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয় এবং মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। তিনি জানান, বাইরে থেকে একদল যুবক এলাকায় এসে সকাল সকাল তারস্বরে মাইক বাজিয়ে, বিজেপির দলীয় পতাকায় লাগিয়ে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হৈ হুল্লোড় করছিল। সকাল থেকে নানান রান্না করছিল তারা। তাদের হৈ হুল্লোড়ে বিরক্ত হয়েছিলেন স্থানীয়রা। তারা এর প্রতিবাদ করেছেন। এর আগে কোনওদিন এলাকায় এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাইরে থেকে কেউ এসে এখানে হৈ হুল্লোড় করলে তা মেনে নেবে না এলাকাবাসীরা। আবারও এরকম হবে আবারও প্রতিবাদ হবে। বিজয়া সম্মিলনীর নামে এসব করা যাবে না। এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। সাতসকালে গান বাজিয়ে, মদ খেয়ে এ আবার কি ধরনের বিজয়া সম্মিলনী।  

পাল্টা এ নিয়ে তৃণমূলকে জবাব দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার সভা নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক নিয়ে প্রস্তুতি সভা ছিল ওখানে। এছাড়াও যেখানে বিজয়া সম্মিলনী করা হয়েছে সেখানে দলের কিষান মোর্চার সভাপতি ছিলেন। তাঁর জায়গাতেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। কোনও মাইক ছিল না। ১টা থেকে অনুষ্ঠান হয়েছে প্যান্ডেল করে। তার আগেই হঠাৎ করে তৃণমূলের লোকজন এসে হামলা চালিয়েছে হলে তাদের অভিযোগ। এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। গোলাবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনায় উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছে। যদিও ঘটনা এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।