Edible Oil Prices: ভোজ্য তেলের দাম ঝপাঝপ কমে যাচ্ছে, একেবারে জলের দরে

টমেটোর দাম এখনও কমেনি সেভাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও চড়ছে। কিন্তু ভোজ্য তেলের দাম কিন্তু নামছে। এমনকী আমদানি করা ভোজ্য তেলের দামও কমে যাচ্ছে বলে খবর। আসলে আমদানিকারীরা দামের থেকেও ২-৩ টাকা কম দামে এই ভোজ্য তেল বিক্রি করছেন বলে খবর। একাধিক বন্দর থেকে এই কম দামে ভোজ্য তেল আমদানিকারীরা বেচে দিচ্ছেন বলে খবর। নিজেরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য কম দামে আমদানি করা তেল বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ ঋণ মেটানোর জন্য তারা যা দাম পাচ্ছেন তাতেই তেল বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে খবর। তার জেরেই বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে বলে খবর। সর্ষে, বাদাম, সানফ্লাওয়ার সহায়ক মূল্যের থেকেও কমে বিক্রি হচ্ছে বলে খবর। 

এদিকে একাধিক তৈলবীজ চাষের এলাকাও কমেছে এবার। গতবছর ২.৭ লাখ হেক্টর জমিতে তৈলবীজ চাষ হয়েছিল। সেটা এবার কমে গিয়ে ১.৮০ লাখ হেক্টর করা হয়েছে। সূর্যমূখীর চাষও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতবার ৪১,০০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। এবার সেটা কমিয়ে ৩৭,০০০ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে। তবে ভোজ্য তেলের চাহিদা আবার ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে এবার।তবে এতসব কিছুর পরেও ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কমেছে বলে খবর। 

ঘি-এর দাম প্রতি টিন ১৭৮৫ থেকে ১৮৯৫ কমে গিয়েছে। সর্ষের দামও কমেছে। প্রতি কুইন্টাল ৫৬৫০ থেকে ৫৭০০ হয়ে গিয়েছে। সর্ষের দাদ্রি তেলও ২৫০ টাকা কমে গিয়েছে। প্রতি কুইন্টাল হয়েছে ১০,৫০০ টাকা। ১৫ কেজির টিন হিসাবে সর্ষের পাক্কির দাম ১৭৮৫-১৮৮০ টাকা আর কাচ্চি ঘানির তেল ১৭৮৫-১৮৯৫ প্রতি টিন। 

সোয়াবিন দিল্লি, সোয়াবিন ইন্দোর আর সোয়াবিন দেগাম তেলের দাম যথাক্রমে প্রতি কুইন্টাল ১০,৪০০,১০,২০০ ও ৮৮৫০ টাকা করে। 

এদিকে সূত্রের খবর, ৬০-৭০ শতাংশ তেল নিষ্কাসনের ছোট যে ইউনিটগুলি রয়েছে সেগুলি বন্ধ করা হয়েছে কারণ তেল তৈরির জন্য় পিষে লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। আমদানি করা তেলই বিক্রি হচ্ছে সস্তায়।তবে এতে কিছুটা হলেও খুশি মধ্য়বিত্তরা।