Houthis Dancing on India bound Ship: হাইজ্যাক হওয়া ভারতগামী জাহাজে তালে তালে নাচ জঙ্গিদের, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে আচমকাই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য উত্তাল হয়ে আছে। হামাসকে খতম করতে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে গাজায়। এদিকে হামাসকে সমর্থন করতে ইয়েমেন থেকে জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছিল হুথি। এসবের মাঝেই কয়েকদিন আগেই হুথিরা অপহরণ করল ভারতগামী জাহাজকে। আর সেই জাহাজ অপহরণ করার ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছিল সেই জঙ্গি গোষ্ঠী। আর এবার সেই জাহাজের ডেকে নাচানাচি করার ভিডিয়ো প্রকাশ করল জঙ্গি গোষ্ঠীটি। (আরও পড়ুন: মিলল কিছুটা আশার আলো, ৮ ভারতীয়র মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ কাতারের আদালতে)

হামাসের সঙ্গে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধে নাম লিখিয়েছে ইয়েমেনের জঙ্গি গোষ্ঠী হুথি। ইরানের সাহায্য প্রাপ্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই। এরই মাঝে ইয়েমেনের এই গোষ্ঠী ভারতগামী একটি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণ করেছে বলে দাবি করল ইজরায়েল। হুথি প্রথমে দাবি করেছিল, তারা ইজরায়েলের একটি জাহাজ অপহরণ করেছে। পরে সেই দাবি খারিজ করে ইজরায়েল জানায়, ভারতগামী একটি জাহাজ অপহরণ করেছে হুথি। জানা গিয়েছে, তুরস্ক থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করা পণ্যবাহী জাহাজটিকে লোহিত সাগরে অপহরণ করেছে ইয়েমেনের জঙ্গি গোষ্ঠী হুথি। বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ জন নাগরিক সেই জাহাজে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। অপহৃত জাহাজটির নাম ‘গ্যালাক্সি লিডার’। সেই জাহাজে ভারতীয় কোনও নাগরিক ছিলেন না। (আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর টানেলের উদ্ধার অভিযানে কালনা যোগ, কবে ৪১ শ্রমিককে বের করে আনা যাবে?)

রিপোর্ট অনুযায়ী, যে জাহাজটি অপহৃত হয়েছে, তা একটি ব্রিটিশ কোম্পানির মালিকানাধীন এবং একটি জাপানি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত। জানা গিয়েছে, ইউক্রেন, বুলগেরিয়া, ফিলিপিন্স, মেক্সিকো সহ বহু দেশের নাগরিক আছে সেই অপহৃত জাহাজটিতে। ইয়েমেনের বন্দর শহর সালিফ-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই জাহাজটি। এদিকে এই জাহাজটি যে ব্রিটিশ সংস্থার, তার অংশীদার একজন ইজরায়েলি ধনকুবের। নাম – আব্রাহাম উঙ্গার।

এদিকে কয়েকদিন আগে সেই জাহাজ হাইজ্যাকের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে হেলিকপ্টারে করে বিদ্রোহীরা নেমে পড়ে জাহাজে। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তারা জাহাজের দখল নেয়। জাহাজের লোকজনকেও পণবন্দি করা হয়েছে। এদিকে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তারা ইজরায়েলের উপর চাপ তৈরির জন্য় এই কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, লোহিত সাগর দিয়ে তারা ইজরায়েলের জাহাজ যেতে দেবে না।