Suvendu Adhikari: মানুষের সমর্থন ছিল না, বুদ্ধবাবুর উদারতার সুযোগে টাটাকে তাড়িয়েছেন মমতা

সিঙুর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না, এখনও নেই। বুদ্ধবাবুর উদারতার সুযোগ নিয়ে সিঙুর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছেন মমতা। সোমবার সন্ধ্যায় সিঙুরে বিজেপির ‘কলকাতা চলো’ কর্মসূচির প্রচারসভায় গিয়ে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, একজনের ইগো স্যাটিসফাই করতে গিয়ে সব হারিয়েছেন সিঙুরের বেকাররা।

এদিন সিঙুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘২০০৬ সালে সিঙুরে অধিকাংশ মানুষ চেক নিয়ে নিয়েছিল। সামান্য কয়েকজন বর্গাদারকে নিয়ে এখানে শিল্প বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙুর আর নন্দীগ্রামের লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না। মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামির জন্য এই ধরণের ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মমতা ব্যানার্জি আজকে সিঙুরটাকে শ্মশানে পরিণত করে দিয়েছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা ও এই রাজ্যের রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী বটে, শিল্প ভাগান গুজরাতে’।

শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘তার পর বেচা ঘরে ঢুকে গেছিল। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ দখলের পর এখানে মাচা বেঁধে ১৬ দিন ধরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৈরি করা কারখানাকে তাড়িয়েছে এখান থেকে’।

সিঙুর আন্দোলনের বিরুদ্ধে কেন মুখ খোলেননি তিনি? সেই প্রশ্ন নিজেই তুলে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আপনি তখন সেই দলে ছিলেন, প্রতিবাদ করেননি কেন? আমি বলি, প্রতিবাদের সুযোগ ছিল না। আপনারা দেখেছেন, ধর্মতলায় চকোলেট স্যান্ডউইচ খাওয়া অনশনে একমাত্র তৃণমূলের বিধায়ক যে যায়নি তার নাম হল শুভেন্দু অধিকারী। ৩০ জনের মধ্যে ১ জন। আমি অকথিত তথ্য আজকে প্রকাশ করছি। আট সালে পঞ্চায়েতের পরে ছাঁদা বেঁধেছিল। প্রতিদিন ডাকত আমাকে। তখন আমি নন্দীগ্রামের হিরো ছিলাম। আমি একদিনও আসিনি। বাধ্য হয়ে একদিন এসেছিলাম। ২০ মিনিট বলেছিলাম। যাওয়ার সময় ওর ছামড়ার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ডেকরেটরের বিলটা মিটিয়ে আমি বাড়ি চলে গেছিলাম। আমাদের সিঙুরে এই ধ্বংসলীলায় পশ্চিমবঙ্গের কোনও অংশের মানুষের সমর্থন ছিল না। আজও নেই। একটা লোকের ইগো স্যাটিসফয়েড করতে গিয়ে সিঙুরের বেকাররা ধ্বংস হল’।

এদিনের সভা থেকে সিঙুরসহ গোটা রাজ্যে ফের শিল্পায়নের ডাক দেন তিনি। বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের বেকারদের দুর্দিন ঘুঁচবে।