Uttarkashi Tunnel Rescue Update: কবে শেষ হবে ভার্টিকাল ড্রিল? উত্তরকাশীর টানেলের উদ্ধারকাজে ভেবে রাখা হয়েছে আরও ৫ বিকল্প

উত্তরকাশীর টানেল থেকে ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে গতকাল থেকে নতুন বিকল্প পথে হাঁটেন উদ্ধারকারীরা। অগার মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় পাহাড়ের ওপর থেকে এবার ‘ভার্টিকাল ড্রিল’ শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার ভার্টিকাল ড্রিলের কাজ শেষ হতে পারে। তবে যদি এই পন্থা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে যায়, তাহলেও আরও ৫টি বিকল্প পথের কথা আগেভাগেই ভেবে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে জানা গিয়েছে, মার্কিন খনন যন্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সুড়ঙ্গ থেকে কেটে বের করে ফেলা হয়েছে পুরোপুরি। (আরও পড়ুন: আজ শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত, এরপর কোনদিকে এগোবে সেটি?)

আরও পড়ুন: সপ্তম বেতন কমিশনের হিসেবে ৮ বছরের বকেয়া পাবেন এই রাজ্যের কর্মীরা, নির্দেশ HC-র

রিপোর্ট জানাচ্ছে, পাহাড়ের ওপর থেকে প্রায় ২০ মিটার গভীর পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। এই গতিতে কাজ নির্বিঘ্নে চলতে থাকলে বৃহস্পির মধ্যে তা সম্পন্ন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যদি শেষে দেখা যায়, এই পথেও উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হল না, তাহলে? তখন ‘ড্রিফট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই পন্থায় পাথর কেটে কেটে প্রয়োজন অনুযায়ী মাপে ছোট সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়। সে ক্ষেত্রে ১৭০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। এদিকে বিস্ফোরণের কৌশলেও পাহাড়ে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছে। দৈনিক তিনটি করে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। এই উপায়ে ৪৮৩ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে উদ্ধারকারী দলকে। এছাড়া বারকোট প্রান্ত থেকে উল্লম্ব ভাবে মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ২৪ মিটার খুঁড়তে হবে। এর জন্যে আবার পাঁচ কিলোমিটার সড়ক প্রয়োজন। সেই সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। 

আর এগুলোর কোনওটাই কাজে না দিলে তখন শাবল-গাঁইতি দিয়ে খুঁড়তে হবে সুড়ঙ্গ। তবে এই পদ্ধতিতে বহু দিন লাগবে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে। কারণ, ধসে পড়া ধ্বসংস্তূপ দিয়ে যে গর্ত এখনও পর্যন্ত অগার মেশিন তৈরি করেছে, তা দিয়ে ঢুকে একজন কর্মীই সাবল গাঁইতি হাতে খনন কাজ চালাতে পারবেন। পরে তিনি বেরিয়ে এলে অপরজন ঢুকে সেই কাজ জারি রাখবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। বিগত কয়েকদিনে উদ্ধারকাজে গতি এসেছিল। তবে হিমালয়ের খামখেয়ালিপনার জেরে বারবারই থমকেছে ড্রিলিংয়ের কাজ। এর জেরে এখনও টানেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিককে। বিগত দিনে দু’বার হিমালয়ের খামখেয়ালিপনায় আটকে যায় উদ্ধারকাজ। গত বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও ফের একবার ড্রিল করতে গিয়ে পাহাড়ে কোনও এক ধাতব বস্তুর মুখোমুখি হতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। এর জেরে ড্রিল মেশিন থমকে যায়। এর আগে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল, আরও ১২ মিটার ড্রিল করলেই আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো যাবে। তবে সেটুকু পথ পাড়ি দিতেই অনেক বাধার মুখে পড়তে হয় অগার মেশিনকে। এই আবহে অগার মেশিনের সাহায্যে ড্রিল করার বিকল্প থেকে সরে আসে উদ্ধারকারী দল। অথচ গত বুধবার সন্ধ্যা-রাতের দিকে মনে করা হচ্ছিল, যে কোনও মুহূর্তে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এরই মাঝে শনিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, অগার মেশিনের সাহায্যে আর ড্রিল করা হবে না।

রিপোর্ট অনুযায়ী, সিল্কিয়ারা এবং দন্ডলগাওঁয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল এই টানেলটি। গত ১২ নভেম্বর খুব ভোরে সেই টানেলে ধস নামে। এই গোটা টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা বলে জানা গিয়েছে। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধসটা নামে ভোর ৪টে নাগাদ। জানা গিয়েছে, টানেলের সামনের দিক থেকে ভিতরের দিকে প্রায় ১৫০ মিটার জমি ধসে পড়ে ওপর থেকে। অর্থাৎ, টানেলের ছাদ ধসে পড়ে। তাতেই আটকা পড়ে যান শ্রমিকরা। প্রসঙ্গত, ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কটি চারধাম রোড প্রোজেক্টের অংশ। এই সড়ক সারা বছর সব ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চালু থাকার কথা। এই সড়কটি তৈরি হলে উত্তরকাশী এবং যমুনোত্রীর মধ্যে যারাপথ ২৬ কিলোমিটার কমে আসবে।