এসএসসি’‌র ডিজিটাল রেকর্ড নিয়ে নয়া মোড়, চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল সিবিআই

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করেই চলেছে সিবিআই। এবার এসএসসি’‌র ডিজিটাল রেকর্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা। এই ডিজিটাল রেকর্ড অন্য ব্যক্তিদের হাতে পাচার করেছিলেন এসপি সিনহা। এমনই তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। এসপি সিনহার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, এসএসসি ডিজিটাল রেকর্ডের তথ্য অন্য ব্যক্তিদের শেয়ার করেছিলেন। এই কাজ করে তিনি বাড়তি অর্থ নিয়েছেন বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন শ্রীঘরে আছেন এসপি সিনহা।

এই ডিজিটাল রেকর্ড অন্য ব্যক্তিদের হাতে পাঠানোর জন্য কত টাকার ডিল হয়েছিল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেসব ব্যক্তিদের এই তথ্য শেয়ার করা হয়েছিল তার একটি তালিকা তৈরি করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে তথ্য এসেছে, বেআইনি চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন এসপি সিনহা। আর এই যোগাযোগের বলেই অযোগ্যদের চাকরি দিতেন এসপি সিনহা। আর প্রত্যেক অভিযুক্ত একে অপরের সঙ্গে যুক্ত আছেন। অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এসপি সিনহা এবং ডিজিটাল রেকর্ডের।

নিয়োগ দুর্নীতিতে নেতা–মন্ত্রী বাদ দিলে কয়েকজন পদাধিকারী গ্রেফতার হয়েছেন। তার মধ্যে এসপি সিনহা একজন। তাঁকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বাড়িতেও সিবিআই অভিযান চলেছিল। এসপি সিনহার হাত অনেক লম্বা ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এসপি সিনহা যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের সম্পর্কে জানতে পেরেছে সিবিআই। নামের তালিকা তৈরি করে আগে রাখা হতো। তারপর টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হতো। গোটা প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা ছিল এসপি সিনহার বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন:‌ আবার নতুন নিয়ম এল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে, বেসরকারি হাসপাতালের উপর বাড়ল চাপ

এখানেই থেমে থাকেননি এসপি সিনহা। তিনি আরও অর্থের লোভে ডিজিটাল রেকর্ড তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। এই তথ্য কোথায় কোথায়, কার কাছে গিয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইয়ের কাছে। তাই এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যদিও এসপি সিনহা আইনজীবীর পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই ডিজিটাল রেকর্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয় সিবিআইয়ের কাছে।