Park Street Cemetery: পার্ক স্ট্রিট সমাধিতে হতে পারে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড, পর্যটনেও দিশা, এখানেই চিরঘুমে ডিরোজিও, বেথুন

শহর কলকাতায় রয়েছে একাধিক সমাধিক্ষেত্র। এখানেই চিরঘুমে শায়িত অনেকেই। কোথাও যেন ইতিহাস থমকে আছে এখানে। ইতিহাস ফিসফিস করে কথা বলে এখানে। পার্ক স্ট্রিটের সমাধিক্ষেত্র। সাউথ পার্ক স্ট্রিট সমাধিক্ষেত্র। মল্লিকবাজার সমাধিক্ষেত্র। মল্লিকবাজার সমাধিক্ষেত্রে গ্যাস চুল্লি।

এই গ্যাস চুল্লিতে একটা সময় শবদাহ করার ব্যবস্থা করা হত। সেখানে জগদীশ চন্দ্র বসু, সুখলতা রাও, নেলি সেনগুপ্তের শেষকৃত্য হয়েছিল বলে খবর। মল্লিকবাজার সমাধিক্ষেত্রে রয়েছে মধুসূদন দত্ত, ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুনের সমাধি। এই সমাধিক্ষেত্রে গেলেই অন্য়রকম মনে হয়। চারপাশে এত আধুনিকতার ছোঁয়া। তার মাঝেই যেন অনেক স্মৃতি বুকে নিয়ে শুয়ে রয়েছে প্রাচীন কলকাতা। সেই ইতিহাসের নানা কাহিনিকে ফের মনে করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ।

প্রতিটি জায়গাই ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার সেই ইতিহাসকেই সামনে আনার উদ্যোগ। ফিরে দেখা সেই প্রাচীন সময়কে। একদিকে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে, অন্যদিকে ইতিহাসবিদদের পাশাপাশি এই সমাধিক্ষেত্রের প্রতি সাধারণ মানুষেরও আকর্ষণ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান ঠিক কী ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রের সঙ্গে?

সেই ইতিহাসই এবার তুলে ধরা হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ক্রিশ্চান বেরিয়াল বোর্ডের সদস্য রণজয় বসু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কোনও বেসরকারি সংস্থা এই কাজে এগিয়ে এলে কাজ দ্রুত হয়ে যাবে বলেই আমাদের মনে হয়।

সাউথ পার্ক স্ট্রিট সমাধিক্ষেত্র। এখানেই রয়েছে হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও, এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম জোনসের মতো প্রখ্য়াত ব্যক্তিত্বদের সমাধি। এই সমাধিক্ষেত্রকে ঘিরে লাইট অ্য়ান্ড সাউন্ডের ব্যবস্থা করতে পারলে সেখানে দেশি বিদেশি পর্যটকরা আসবেন। সেই প্রদর্শনী থেকে কিছু আয়ও হবে। তা দিয়ে সমাধিক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে।

বহু প্রাচীন এই সমাধিক্ষেত্র। বয়সের ছাপ পড়েছে সর্বত্র। তবে বহুদিন হল এই সমাধিক্ষেত্রে আর নতুন করে সমাধি দেওয়া হয় না।এখানে রয়েছে প্রায় ১৬০০ সমাধি। প্রতিটি সমাধিক সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কত প্রাচীন কথা। মুছে যাওয়া ইতিহাস আবার কথা বলবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রদর্শনীর মাধ্যমে।তবে এই সমাধিক্ষেত্রে এলে শুধুই গা ছমছম করে এমনটা নয়। এই সমাধিক্ষেত্রে এলে সেই প্রাচীন কলকাতার একটা অনুভূতি মেলে। ১৭৬৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই সমাধি। এই সমাধিক পরতে পরতে নানা ইতিহাস।