‘‌উনি পুরনো চিরকুট নিয়ে এসেছিলেন’‌, শাহের সভা সুপারফ্লপের ব্যাখ্যা দিলেন কুণাল

অমিত শাহের সভা সুপারফ্লপ কেন?‌ এবার তার ব্যাখ্যা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির শাহি সভার আয়োজন শুরুটা ব্যাপক উন্মাদনার সঙ্গে হলেও সেই ভিড় দেখা গেল না। যেটা বিজেপি নেতারা দাবি করেছিলেন। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশকে টক্কর দিতে জোর প্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে প্রচারের সঙ্গে ভিড়ের মিল খুঁজে পাওয়া গেল না। আর তাতেই হতাশ হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই তাঁকে বলতে হয়েছে, ‘‌বাংলার মানুষের আওয়াজ কোথায় গেল?‌’‌ কোনওদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের ধারেকাছে আসতে পারেনি বিজেপির এই মেগা সমাবেশ বলে দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।

এদিন ভিড় ধরে রাখতে রামমন্দির, অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতি, কাটমানি এমনকী সিএএ ইস্যু সামনে এনেছেন অমিত শাহ। আর ভাষণের শেষে সুরাবর্দি খাঁর ডাইরেক্ট অ্যাকশন প্ল্যান থেকে শুরু করে গোপাল পাঁঠার ইতিহাস সামনে আনেন অমিত শাহ। কিন্তু এত কিছুর পরও দেখা গেল, মানুষজন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা না শুনে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ভিড় করেছেন। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌উনি অনুপ্রবেশের কথা বলেছেন। আর এই অনুপ্রবেশ সীমান্ত দিয়ে হয়। সীমান্তের দায়িত্বে থাকে বিএসএফ। বিএসএফের মন্ত্রী অমিত শাহ নিজে।’‌ তাই তাঁর বক্তব্যের সারবত্তা নেই বলে দাবি কুণালের।

আবার মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ে আসেন নাগরিকত্ব ইস্যু। সিএএ গোটা দেশে চালু হবে। এই রাজ্যেও হবে। কেউ ঠেকাতে পারবেন না। এমন মন্তব্য করেন শাহ। এভাবেই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ধর্মতলার সভায় উপস্থিত কর্মী–সমর্থকদের আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পালটা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌আমার মনে হয় উনি পুরনো চিরকুট নিয়ে এসেছিলেন। তাই একই ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে গিয়েছেন।’‌ অর্থাৎ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বারবার বাংলায় এসে এই একই কথা বলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা যায়নি। এবারও একই কথা বললেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন:‌ বঞ্চিতদের হাতে অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন অভিষেক, টাকার উৎস জানিয়ে দিলেন মমতা

ভিড় ঠিক কতটা হয়েছিল? বিজেপি নেতাদের দাবি, লাখ লাখ লোক হয়েছিল অমিত শাহের সভায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, ‘‌পুলিশ বাধা দিয়েছে। তাও লাখ লাখ কার্যকর্তা সেই বাধা পেরিয়ে এই সভায় এসেছেন। আমরা বলছি, তৃণমূল কংগ্রেস যে ওষুধ বোঝে, সেই ওষুধ বোঝাব।’‌ তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‌সামনের অংশটা বিশাল ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ওদিক থেকে একটাও মিছিলের দেখা নেই। আমাদের সভায় মঞ্চের পিছনে যে সংখ্যক লোক থাকে, সেই সংখ্যক লোক এদিনের সভায় সামনে ছিল।’‌