Automatic Car: ড্রাইভার ছাড়াই দিব্যি চলছে গাড়ি! তারপরে কী হল জানেন? দেখলে চমকে যাবেন

অটোমেটিক গাড়ি! ড্রাইভার ছাড়াই দিব্বি চলছে গাড়ি এমনই এক ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফররত এক ভারতীয় মহিলা এই অটোমেটিক গাড়ির চালানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন নেট মাধ্যমে। সেই ভিডিয়ো দেখেই তাক লেগে গিয়েছে নেটিজেনদের।

যদিও অটোমেটিক গাড়ি এখনও ভারতের কাছে অত্যন্ত দুর্লভ। তবে এটি পশ্চিমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ড্রাইভার ছাড়া গাড়ি চালাতে ঠিক কেমন লাগে জানেন?নেহা দীপক শাহ ইনস্টাগ্রামে এই অটোমেটিক গাড়ির একটি ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে সান ফ্রান্সিসকোর একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়েইমো নামের একটি অ্যাপ থেকে ক্যাবটি বুক করেন শাহ।

আরও পড়ুন: এক গর্ভে দু’টি জরায়ু! প্রতিটিতে রয়েছে আলাদা সন্তান, কাহিনি জানলে চোখ কপালে উঠবে

এই ক্যাব অন্যান্য কার অ্যাপের মতোই কাজ করে। গাড়িটি আসার পরে,অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে নিজে থেকেই দরজা খুলে যায় এবং ভিতরে থাকা একটি স্ক্রিনের মাধ্যমে গাড়িটি চালু করা যায়। এরপর যাত্রা শুরু হলে স্টিয়ারিং হুইল নিজে নিজেই চলতে থাকে। ভিডিয়োতে শাহ যাত্রীর সিটে এবং দু’জন পিছনের সিটে বসতে দেখা যায়। এই ভিডিয়ো দেখে চমকে গিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: সাপের বিষাক্ত চুম্বন নয়, সাপকে নির্বিষ চুমু! অ্যানাকোন্ডা চটকানোর ভিডিয়ো ভাইরাল

ভিডিয়োটি শেয়ার করে পোস্টের ক্যাপশনে শাহ লিখেছেন, ‘চালকবিহীন স্বচালিত ট্যাক্সি! এটাই কি ভবিষ্যৎ? সত্যি কথা বলতে কি, আমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এটি সর্বকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটা। সম্প্রতি সান ফ্রান্সিসকোতে @waymo ব্যবহার করলাম এবং আমি শান্ত থাকতে পারিনি।’

পোস্টটি ১৭ নভেম্বর শেয়ার করা হয়েছে। এই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পর থেকে এটি ১৪.৩ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। শেয়ার হওয়া মাত্রই অসংখ্য লাইক এবং মন্তব্যে ভরে গিয়েছে পোস্টটি ।

এই ভিডিয়ো দেখে একজন লিখেছেন, ‘বিস্ময়কর প্রযুক্তি’। আরেকজন লিখেছেন, ‘ভারতে এটা কবে আসবে?’ ট্র্যাফিকের কারণে এটি ভারতে কাজ নাও করতে পারে।’ এমনও মন্তব্য করেছেন এক নেটিজেন। প্রসঙ্গত, পশ্চিমী দেশগুলিতে সেল্ফ ড্রাইভিং কারের চল ধীরে ধীরে বাড়ছে। এলন মাস্কের টেসলাও এই নিয়ে নানান কাজ করছে। তবে এখনও সম্পর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয়নি এই প্রযুক্তি। তাই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় মাঝেই মাঝেই যেই কারণে খুব বেশি মানুষ এই হাইটেক টেকনোলজির ওপর ভরসা করতে পারছেন না।