Calcutta High Court: হলফনামা পেশে গড়িমসি, ‘…জরিমানা দিতে হবে’, রাজ্য সরকারকে ‘ধমক’ হাই কোর্টের

রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য। তবে নির্দিষ্ট দিনে সেই কাজ করতে পারেনি তারা। উলটে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে অতিরিক্ত সময় চান রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী। আর এতেই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার হুঁশিয়ারিও দেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের প্রকল্প বন্ধ করে রাজ্যের নামে প্রকল্প চালানোর অভিযোগ এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। তবে রাজ্য সরকার তা করতে পারেনি। এই আবহে আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চাওয়া হয়। তখনই রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে জরিমানার হুঁশিয়ারি দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিকে রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলায় নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে হলফানামা পেশ করতে হবে তাদের। না হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ ডিসেম্বর। এই আবহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘সব বিষয়কে রাজনীতির রঙে রাঙিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। এটা জনস্বার্থ প্রকল্প। এই ক্ষেত্রে রাজ্যের ব্যবহার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরোধিতা করার মতো।’

এদিকে মামলায় সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে কেন্দ্রেরই তৈরি করা কমন সার্ভিস সেন্টার বা সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই আবহে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তিনি। বিজেপি সাংসদের দাবি, প্রায় ৪০ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টার নোটিফিকেশন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেগুলিকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেন, রাজ্যের এহেন পদক্ষেপে বহু মানুষ কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। এই আবহে হাই কোর্টে রাজ্য ‘ধমক’ খাওয়ায় সুকান্ত বলেন, ‘বহুদিন আগেই হাই কোর্টে এই মামলাটি করেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হলফনাম জমা না করলে রাজ্যকে জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। পাশাপশি এই মামলায় রাজনৈতিক রং চড়াতে নিষেধ করেছেন প্রধান বিচারপতি। এই জনহিত প্রকল্পের বিরোধিতা করতে বারণ করা হয়েছে রাজ্যকে।’