Firhad Hakim: কলকাতা পুরসভায় বিরোধী ভূমিকায় শাসকদল, অধিবেশনে তাদেরই প্রশ্ন বেশি

কলকাতা পুরসভায় বিরোধী ভূমিকায় শাসকদল। মাসিক অধিবশনে তাঁদের করা প্রশ্নের সংখ্যা সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। ফলে নিজের দলের কাউন্সিলারদের প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ তাঁর পারিষদকে। যদিও সেই প্রশ্নের সাধ্যমতো জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছেন মেয়র। 

কলকাতা পুরসভায় বিরোধীদলের কাউন্সিলার বলতে বিজেপির তিনজন এবং বাম কাউন্সিলারের সংখ্যা দুই। এ ছাড়া একজন কংগ্রেস কাউন্সিলার রয়েছেন। বাকি ১৩৮ জন কাউন্সিলারই তৃণমূলের।

পুরসভার মাসিক অধিবেশনে গড়ে সাত-আটটি প্রশ্ন উত্থাপন করে কাউন্সিলাররা। এ ছাড়া পুর পরিষেবা নিয়ে ছয়-সাতটি প্রশ্ন টিকা-সহ উত্থাপিত হয়। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে বেশির ভাগ প্রশ্ন তুলছেন শাসকদলের কাউন্সিলারই।

এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অধিবেশনে ৪৮ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দের প্রশ্ন ছিল এলাকার জল সমস্যা নিয়ে। কাউন্সিলার জানান, তাঁর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাবুরাম শীল লেন, মদন দত্ত লেন, শ্রী গোপাল মল্লিক লেন, জগবন্ধু লেনে উৎসবের মরশুমেও জল বন্ধ ছিল। 

(পড়তে পারেন। পাইপের জন্য রাস্তা খোঁড়া বন্ধ করতে প্ল্যান কলকাতায়, টাকা কোথায়? উঠল প্রশ্ন) 

আবার গত অধিবেশনে ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অভিযোগ করেন, বেহালায় তাঁর ওয়ার্ডে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের আওতায় থাকা জমিতে একটি বেআইনি ভাবে গড়ে ওঠা কারখানা রমরমিয়ে চলছে। 

তবে অধিবেশনে নিয়মিত প্রশ্ন উত্থাপন এবং প্রস্তাব পেশ করেন ৫০ নম্বরের ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ।  গত অধিবেশনের তিনি পার্কি এবং শহরের হকার নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর উত্তর দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। 

কংগ্রেস কাউন্সিলার সন্তোষ পাঠকও নিজের বিভিন্ন সমস্যার কথা অধিবেশনে তুলে ধরেন। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রশ্ন করতে দেখা যায় না দুই বাম কাউন্সিলারকে।

বাম কাউন্সিলাররা এই অভিযোগ মানছে না।  ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলার মধুচ্ছন্দা দেবের দাবি, তাঁরা দুই বাম কাউন্সিলার অধিবেশনগুলিতে নিয়মিত প্রশ্ন করেন। মধুচ্ছন্দা দেবের কথায়, ‘উদ্দেশপ্রণোদিত ভাবে আমাদের নামে এই অপ্রচার করা হচ্ছে।’

শাসকদলের কাউন্সিলারদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হয় যাঁকে, সেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘অধিবেশনে বিরোধী কাউন্সিলাররা প্রশ্ন করছেন না সেটা খুবই দুঃখের। আমাদের কাউন্সিলাররাই তাই ওয়ার্ডে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।’

সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘বিরোধী কাউন্সিলাররা বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উত্থাপন করেন। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশ সময় বলতে দেওয়া হয় না।’

এই অভিযোগ মানতে নারাজ চেয়ারপার্সন মালা রায়। তাঁর কথায়, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ। সময় মেনে সবাইকে প্রশ্ন করতে এবং প্রস্তাব উত্থাপন করতে দেওয়া হয়। ’