IIT Kharagpur: পড়ুয়াদের ৪ কিমি ঘুরে যেতে হবে! IIT খড়্গপুরে গেট বন্ধ নিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের

তুমুল বিক্ষোভ আইটি খড়্গপুরের ক্যাম্পাসে। তবে সেই বিক্ষোভ পড়ুয়াদের নয়, এই বিক্ষোভ অভিভাবকদের। মূলত আইআইটি খড়্গপুরের মূল গেট বন্ধ রাখা নিয়ে এই বিক্ষোভ। সম্প্রতি আইআইটি কর্তৃপক্ষ নির্দেশ জারি করে মূল গেট বন্ধ রাখার কথা বলেছে। সেই গেট খুলে রাখার দাবিতেই অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: প্রজেক্ট নিয়ে চাপ তৈরি করা হয়েছিল, খড়্গপুর IIT-র ছাত্র মৃত্যুতে দাবি পরিবারের

গত ১৩ নভেম্বর আইআইটি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, এই গেট ব্যবহার করা যাবে না। প্রসঙ্গত, আইআইটি ক্যাম্পাসের ভিতরে একাধিক স্কুল রয়েছে। এই অবস্থায় মূল গেট বন্ধ থাকলে স্কুলে যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের প্রায় চার কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হবে। এই সমস্যার কথা জানিয়ে গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানান অভিভাবকরা। সেই দাবিকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন অভিভাবকরা। তাঁদের কথায়, ওই রাস্তায় সাইকেলে করে পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে গেলে সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ সেই রাস্তায় প্রচুর যানচলাচল করে। ফলে ছোট পড়ুয়ারা সমস্যার মুখে পড়তে পারে। এই দাবিতে বিক্ষোভ করেন অভিভাবকরা।

অভিভাবকদের বক্তব্য, তাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করতে না পারলে আইআইটির কোনও পড়ুয়া বা শিক্ষকও এই রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন না। তাঁদের ছেলেমেয়েদের চার কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে হলে আইআইটির ছাত্র-ছাত্রীদেরও চার কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে। মঙ্গলবার আইটি খড়্গপুরের পড়ুয়াদের ওই গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন অভিভাবকরা। তা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিভাবকরা আইআইটির পড়ুয়াদের ধাক্কাধাক্কি করে বলেও অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ১৩ হাজার ছাত্রছাত্রীর জন্য সেমেস্টার শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিভিন্ন হলে যেতে যাতে কোনওরকমের অসুবিধা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় অন্যান্যদের জন্য মূল গেট বন্ধ রাখা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, ওই ক্যাম্পাসের মধ্যে চারটি স্কুল রয়েছে। এই নির্দেশের ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের। এ প্রসঙ্গে এক অভিভাবকের বক্তব্য, তিনি যখন সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন, তখন কোনও নিয়ম ছিল না। এখন বলা হচ্ছে যে সুরক্ষার কারণে গেট বন্ধ রাখা হচ্ছে। তিনি এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি অন্যান্য অভিভাবকদের। তাঁদের বক্তব্য, গেট খোলা না হলে তাঁরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।