Subhas Sarobar: আরও একটা ইকো পার্ক পাবে কলকাতা? সুভাষ সরোবর সাজাতে বিশেষ ‘পরিকল্পনা’ KMDA-এর

নয়া সাজে সেজে উঠবে সুভাষ সরোবর চত্বর। কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (কেএমডিএ) এবার সেই দায়িত্ব নিল। এর জন্য একটি বিশেষ কমিটিও গড়া হবে বলে খবর। এর জন্য উদ্ভিদবিজ্ঞানী, পরিবেশবিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছ’জন সদস্যকে কমিটিতে নেওয়া হবে। ওই কমিটির সুপারিশ মেনেই সাজিয়ে তোলা হবে সুভাষ সরোবর এলাকা।  প্রসঙ্গত, উত্তর কলকাতার ফুসফুস বলে পরিচিত এই সরোবর। শহরবাসীর অন্য়তম প্রিয় গন্তব্যও বটে। তাই এই স্থানকে আরও আকর্ষণীয় বানিয়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হল।

(আরও পড়ুন: নিঃশব্দে মারাত্মক রোগ ডেকে আনে ইউরিক অ্যাসিড! সুস্থ থাকতে কোন কাজটি করবেন)

কী কী আকর্ষণ থাকছে এই এলাকায়? সরোবর চত্বরে বাটারফ্লাই গার্ডেন থেকে মেডিসিন্যাল প্ল্যান্টের বাগান তৈরি হবে বলে খবর । সুন্দর করে সাজানো হবে লেক আশপশটাও। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই  বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা পরিদর্শন করে এসেছেন সুভাষ সরোবর চত্বর। ফাঁকা বা আগাছা ভরা জায়গাগুলিকে কীভাবে নতুন করে সাজানো যায়, কোথায় কোথায় নতুন ধরনের গাছ লাগানোর জায়গা রয়েছে, সে সবেরই ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছেন তাঁরা। নিউ টাউনের ইকো পার্কের মতোই এখানে থাকবে বাটারফ্লাই গার্ডেন ও মেডিসিন্যাল প্ল্যান্ট। সুভাষ সরোবরে এই দুই জিনিস তৈরি করার পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে বলে জানিয়েছে কেএমডিএকে।

(আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব বাহিনী গড়ছে কলকাতা পুরসভা! HS উত্তীর্ণদের নিয়োগ)

উদ্ভিদবিজ্ঞানী আক্রামুল হক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাটারফ্লাই গার্ডেন তৈরি করলে আগামী প্রজন্ম নানা ধরনের প্রজাপতি দেখতে পাবে। পাশাপাশি ওষুধ তৈরির গাছ লাগালে সমাজ উপকৃত হবে। ঘটনা হলো, দর্শকের ভিড়ে এখন সুভাষ সরোবরকে টেক্কা দিচ্ছে রবীন্দ্র সরোবর, ইকো পার্ক। পাখিদের আনাগোনাও সুভাষ সরোবরের তুলনায় অন্যত্র অনেক বেশি। কারণ, অন্য জায়গাগুলিতে গাছের সংখ্যা যেমন বাড়ানো হচ্ছে তেমনই রক্ষণাবেক্ষণেও জোর দেওয়া হয়। সুভাষ সরোবরের পরিকাঠামোর উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলে দীর্ঘদিন থেকেই দাবি জানাচ্ছিলেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

পরিবেশবিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, নতুন করে সাজানোর ক্ষেত্রে সুভাষ সরোবরের জীববৈচিত্র্যের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কেননা, বহু ধরনের পাখি এবং জলজ প্রাণীর বসবাস সরোবর চত্বরে। সৌন্দর্যায়ন করতে গিয়ে তাদের যাতে কোনওভাবে ক্ষতি না হয়, সেটা দেখা উচিত। কেএমডিএর এক কর্তার কথায়, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের উপরেই ভরসা করা হচ্ছে। সেইমতোই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।