নারায়ণগঞ্জের প্রতি আসনে এমপি হতে চান ৯ জন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের পাঁচ আসনে ৪৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার মধ্যে ১২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। হিসাবে জেলার প্রতি আসনে এমপি হতে চান ৯ জন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পাঁচটি আসনে ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ছয়, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পাঁচ জন।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন গোলাম দস্তগীর গাজী (আওয়ামী লীগ), তৈমুর আলম খন্দকার (তৃণমূল বিএনপি), শাহাজাহান ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র), গাজী গোলাম মর্তুজা (স্বতন্ত্র), মো. হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), মো. জোবায়ের আলম (জাকের পার্টি), মো. সাইফুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), একেএম শহিদুল ইসলাম (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ) ও আফাজ উদ্দিন মোল্লা (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন নজরুল ইসলাম বাবু (আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয় (তৃণমূল বিএনপি), মো. শাহজাহান (জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন (জাতীয় পার্টি), মো. শরিফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও জি. কে. মামুন দিদার (স্বতন্ত্র)।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি), মো. মজিবুর রহমান মানিক (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মো. জামিল মিজি (জাকের পার্টি), এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), নারায়ণ দাস (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), এরফান হোসেন (স্বতন্ত্র), মারুফ ইসলাম ঝলক (স্বতন্ত্র), মো. আরিফ (মুক্তিজোট), রুবিয়া সুলতানা (স্বতন্ত্র), এ.এইচ.এম মাসুদ (স্বতন্ত্র), সিরাজুল হক (বাংলাদেশ কংগ্রেস) ও মোহাম্মদ আসলাম হোসেন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন একেএম শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ), মো. রাশেদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মো. আলী হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. মুরাদ হোসেন জামাল (জাকের পার্টি), মো. ছালাউদ্দিন খোকা (জাতীয় পার্টি), মো সেলিম প্রধান (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. হাবিবুর রহমান (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. শহীদ উন নবী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), গোলাম মোর্শেদ রনি (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. সৈয়দ হোসেন (সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ) ও কাজী দেলোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র)।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন একেএম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি), এএমএম একরামুল হক (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোর্শেদ হাসান (জাকের পার্টি), মো. আব্দুল হামিদ ভাসানী (তৃণমূল বিএনপি) ও ছামসুল ইসলাম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, কোনও প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিট এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনে ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া আছে। আশা করছি, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতো পারবো। 

শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান বলেন, আমি তাকে সম্মান করবো ও তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানদের আমি বলতে চাই, আপনারা এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যাবেন না, নিজ নিজ এলাকা থেকেই কাজ করবেন। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন করবেন।