FIR Against MLA Suman Kanjilal: তৃণমূলে যোগ দেওয়া MLA সুমনের বিরুদ্ধেই এফআইআর করল শাসকদল, ঐতিহাসিক ভুল? চিনতে পারেননি?

বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সংগীত অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আর প্রথম এফআইআরে ১১জন বিধায়কের নাম ছিল। সেই নামের তালিকায় জ্বল জ্বল করছেন সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক। বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সুমনই সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে তৃণমূলে চলে এসেছিলেন।

এদিকে সুমনের নিজেরই দাবি তিনি সেদিন বিধানসভা চত্বরে তৃণমূলের ধর্নাস্থলে ছিলেন। কিন্তু শাসকদলের ধরনাতে থেকেও তাঁর নামে এফআইআর করল তৃণমূল? এটা কেমন কথা?

এই ঘটনাকে ঘিরে বেজায় অস্বস্তিতে সুমন। তৃণমূলের হাত থেকে পতাকা নেওয়ার পরেও রক্ষে নেই। তৃণমূলই আবার এফআইআর করে দিল সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে।

তবে এনিয়ে এবিপি আনন্দের সাংবাদিককে সুমন জানিয়েছেন, বিআর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় উপস্থিত ছিলাম জনপ্রতিনিধি হিসাবে। বঞ্চনার প্রতিবাদে এই ধরনা ছিল। জাতীয় সংগীতের অবমাননা নিয়ে যে অভিযোগ হয়েছে…কিন্তু সেদিন আমি তৃণমূলের ধরনায় ছিলেন। নেত্রীও ওখানে ছিলেন। বিজেপির ধর্নায় থাকার তো প্রশ্নই নেই।

তৃণমূলের বিধায়করা চিনতে পারলেন না?

সুমন বলেন, বলতে পারব না। কে চিনেছেন কে চেনেননি। হয়তো ক্লারিকাল মিসটেক হয়েছে। স্পিকারের সঙ্গে কথা হয়েছে।

এদিকে অস্বস্তি কাটছেনা কিছুতেই।

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, অবৈধ ভাবে দত্তক নেওয়া পুত্রকে পিতার চিনতে ভুল হয়েছে। আসলে অবৈধভাবে কেউ বসলে কী হতে পারে সেটা বোঝা যাচ্ছে। তৃণমূলের অবস্থানে অবৈধভাবে বসলে কী হয় এটা বুঝতে পারছেন সুমন।

তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, মনে হয় পরিষদীয় দলের তরফে কথা বলা হয়েছে। এরকম ধরনের ভুল হয়। তবে সুমন বিজেপিতে নেই এটাই জানি।

অনেকেই মজা করে বলছেন একেবারে যেন ভুলের পাহাড় গড়ছে তৃণমূল। এফআইআর কপি দেখে তাবড় তৃণমূল নেতাদেরও ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। বিজেপি ছেড়ে যারা তৃণমূলে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন এতদিন তাঁরাও এবার আশঙ্কার দোলাচলে ভুগছেন। এরকম হলে তো বেজায় সমস্যা…