Genetic Disease: জিনগত রোগও চোখ রাঙাবে না আর! সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে নতুন রাস্তা দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

জিনগত রোগের সংখ্যা গুনলে আজকের দিনে তা নেহাত কম নয়। লিউকোমিয়াসহ অসংখ্য রোগ রয়েছে। জিন থেকেই যে রোগগুলির উৎপত্তি। খোদ ক্যানসারের পিছনেও জিনের ভূমিকা অস্বীকার করেন না বিজ্ঞানীরা। সন্তানধারণের সময় ভ্রুণের এই রোগ রয়েছে কি না তা জানার উপায়ও আবিষ্কার করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞান।

কিন্তু তাতে যে খামতি নেই, তা নয়। এর মাঝেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয়া পথ দেখাচ্ছে NIPT (নন-ইনভেসিভ প্রিন্যাটাল টেস্টিং)। এই বিশেষ পরীক্ষার সুবিধা ও খুঁটিনাটি কী? এ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে বিশদ আলোচনা করলেন মেডজিনোমের রিপ্রোডাকটিভ জেনেটিক্সের ডাইরেক্টর তথা চিকিৎসক প্রিয়া কদম।

(আরও পড়ুন: বিছুটি পাতার চায়ের গুণে কবজায় থাকে সুগারও! কীভাবে বানাবেন জেনে নিন)

এই ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা কখন দরকার? আলোচনার শুরুতেই উঠে এল এমন একটি প্রসঙ্গ। প্রিয়া বললেন, সন্তানধারণের সময় অতিরিক্ত ঝুঁকির কথা। অনেক সময় দেখা যায়, বেশি বয়সে সন্তানধারণ করছেন একজন নারী। অথবা গর্ভধারণের সময় তাঁর ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে ভ্রুণের কোনও জিনগত রোগ হতে পারে কি না তা দেখা বেশি জরুরি। সেই দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হল প্রিন্যাটাল টেস্টিং। অর্থাৎ, সন্তান গর্ভে থাকাকালীনই কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো। এই সময় জিন পরীক্ষা করালে জিনগত রোগের আগাম খবর পেতে পারেন প্রসূতিরা।

সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে NIPT-ই নয়া দিশা

(Pixabay)

জিনগত রোগ নিয়ে কিছুদিন আগেও এতটা সচেতনতা ছিল না। কিন্তু এখন সচেতন হওয়া জরুরি। তার কারণও জানাচ্ছেন চিকিৎসক। প্রিয়ার কথায়, কিছু জিনগত রোগ অনেক সময় বড্ড ব্যয়বহুল হয়। যা একটি পরিবারকে রীতিমতো বিপদে ফেলে দেয়।

(আরও পড়ুন: শীত পড়তেই বাড়বাড়ন্ত হয় হৃদরোগের! কেন? কী বলছে চিকিৎসাবিজ্ঞান)

তবে প্রিন্যাটাল টেস্টিং-এ নয়া যুগ শুরু এনেছে নন-ইনভেসিভ প্রিন্যাটাল টেস্টিং বা এনআইপিটি। এতদিন জিন পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হত ইনভেসিভ প্রিন্যাটাল টেস্টিং (ইনভেসিভ কথাক অর্থ শরীরের ভিতরে কিছু প্রবেশ করানো যেমন ইনজেকশন)। চিকিৎসক প্রিয়া কদমের কথায়, অ্যামনিওসেন্টেসিসের মতো ইনভেসিভ পরীক্ষায় সামান্য হলেও গর্ভপাতের ঝুঁকি থেকে যায়। কিন্তু নন-ইনভেসিভ পরীক্ষায় সেই ঝুঁকি কম। নন-ইনভেসিভ পরীক্ষায় মায়ের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তা থেকেই শিশুর জিনগত রোগ হতে পারে কি না তার আন্দাজ পাওয়া যায়। নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা একবার করে নিলে আলাদা করে ইনভেসিভ পরীক্ষা করানোর দরকার পড়ে না। তাই চিকিৎসকের কথায়, সুস্থ শিশুর জন্ম দিতেই এনআইপিটি-তেই ভরসা করা উচিত হবু মা-বাবার।