Vidyasagar College: ক্লাসে না আসায় বিদ্যাসাগর কলেজের শিক্ষিকাকে হেনস্থা, কাঠগড়ায় TMCP নেতা

ফের কাঠগোড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এবার কলকাতার একটি কলেজের শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। বিদ্যাসাগর কলেজের এক শিক্ষিকাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শিক্ষিকা অভিযোগ তুলেছেন, ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনিরুল মণ্ডল তাঁকে হেনস্থা করেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রনেতা। তাঁর দাবি, বহুদিন ধরে কলেজে ক্লাস হচ্ছে না। ফলে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে এসে বসে থাকছে। বৃহস্পতি বার ওই শিক্ষিকা ক্লাসে আসেননি। তাই নিয়ে তিনি শুধু প্রশ্ন তুলেছিলেন মাত্র।

আরও পড়ুন: জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়ায় ছাত্রকে মারধর, শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি

প্রসঙ্গত, রাজের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি বহু বছর ধরে। এই অবস্থায় ছাত্র পরিষদের নেতা পরিচয় দিয়ে দৌরাত্ম্যের অভিযোগ মাঝে মধ্যেই ওঠে। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম মধুমিতা মিত্র। তিনি দর্শন বিভাগের শিক্ষিকা। তাঁর অভিযোগ, ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনিরুল মণ্ডল বৃহস্পতিবার টিচার্স রুমে গিয়ে তাকে হেনস্থা করেন। কেন ক্লাসে যাচ্ছেন না? তাই নিয়ে প্রশ্ন করেন মনিরুল। শিক্ষিকার অভিযোগ, ক্লাস নেওয়ার সময় মনিরুলের নেতৃত্বে কলেজে স্লোগান দেওয়া হয় অথচ বিরতিতে স্লোগান দেওয়া হয় না। মধুমিতা জানান, বিরতির পর ওই ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল। তার আগে টিচারদের সঙ্গে সিলেবাস নিয়ে আলোচনা চলছিল। তখনই সেখানে ঢুকে মনিরুল তাঁকে হেনস্থা করে। শিক্ষিকা দাবি, তিনি ২১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু, কোনওদিন এই অভিজ্ঞতা হয়নি তাঁর। তাঁর দাবি, তিনি প্রত্যেকদিন নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি বিভাগীয় কাজ করেন। 

তাঁর বক্তব্য, এরকম প্রশ্ন করার অধিকার শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রধানের রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন মনিরুল। এখনও তিনি ছাত্র। অন্যদিকে, মনিরুল মণ্ডলের পালটা অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। সেই দাবি তারা অনেক দিন ধরে জানিয়ে আসছেন। এমনকী টিচার ইনচার্জের কাছেও এনিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তিনি জানান, ম্যাডাম অনেকদিন ধরেই ক্লাসে যাচ্ছেন না। তিনি কেন যাচ্ছেন না? শুধু মাত্র সেই প্রশ্ন নম্রভাবে করা হয়েছিল। কিন্তু, শিক্ষিকা তার উপর রেগে যান বলে দাবি মনিরুলের। তার বক্তব্য, এভাবে কেউ ক্লাস না করালে ছাত্রদের তা জানার অধিকার রয়েছে।