‘‌দশ বছরে ৫০ শতাংশ মহিলাদের মুখ্যমন্ত্রী করা লক্ষ্য’‌, বড় ঘোষণা করলেন রাহুল গান্ধী

আগামী ১০ বছরে কংগ্রেসের কী পরিকল্পনা?‌ এই প্রশ্ন যখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তৈরি হচ্ছে তখন জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়ে চমক দিয়েছে। যদিও তার বাস্তবায়ন হয়নি। সেখানে কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামোয় এবার সক্রিয়ভাবে মহিলাদের উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করেন রাহুল। তাই আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মহিলাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কুর্সি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই লক্ষ্যে এখন থেকেই রাহুল কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার কেরল মহিলা কংগ্রেসের সম্মেলন ‘উৎসাহ’–এর উদ্বোধন করে এই বড় সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আগামীকাল, রবিবার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পাবে। এক্সিট পোলের সমীক্ষা অনুযায়ী, কংগ্রেসের অবস্থা খুব ভাল হতে চলেছে। আর বিজেপি ধাক্কা খেতে চলেছে। তবে এই সমীক্ষা মেলে কিনা সেটা এখন দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কয়েক ঘণ্টা। যদি মেলে তাহলে সেটা হবে বিজেপির কাছে বড় সেটব্যাক। আর এই ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার আগেই রাহুল গান্ধীর এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এটা সত্যিই বড় সিদ্ধান্ত।

এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজার চেষ্টা করেও পরাস্ত করতে পারছে না বিজেপি। দুর্নীতি–সহ নানা অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীকে জেলে পোরা হয়েছে। তবে মহিলা সংরক্ষণের কথা বারবার বলে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সংসদে ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ পাঠিয়ে নজির গড়েছেন। সেখানে ওয়ানাড়ের সাংসদ বলেন, ‘‌আমাদের দলে অনেক মহিলা নেত্রী রয়েছেন যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য উপযুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য যেসব গুণ প্রয়োজন তা তাঁদের মধ্যে রয়েছে। আগে আমি আলোচনা করছিলাম যে আমাদের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত। এখন আমি ভেবেছি যে কংগ্রেসের জন্য ভাল লক্ষ্য হবে আজ থেকে ১০ বছরে, ৫০ শতাংশ মহিলাদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করা। তাহলেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে। আজ আমাদের একজনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নেই।’‌

আরও পড়ুন:‌ এক ফ্রেমে বিধান–জ্যোতি–বুদ্ধ–মমতা, বিধানসভার সংগ্রহশালায় রাজ্য–রাজনীতি

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা এদিন আরএসএসকে আক্রমণ করেন। এটা একটা পুরুষদের সংগঠন বলে কটাক্ষ করেন রাহুল। তাঁর কটাক্ষ, ‘‌এই দলটি শুধুমাত্র একটি পুরুষদের সংগঠন। আমি মনে করি মহিলারা অনেক দিক থেকেই পুরুষদের থেকে শ্রেষ্ঠ। তাদের ধৈর্য্য পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি। তাঁদের পুরুষদের তুলনায় দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টি রয়েছে। তাঁরা পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল এবং সহানুভূতিশীল। মহিলাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা আরএসএসের আদর্শের অংশ নয়। আমরা বিশ্বাস করি মহিলাদের ক্ষমতায় আসা উচিত।’‌