Brain Eating amoeba: ঘিলুখেকো অ্যামিবাই প্রাণ কাড়ল আবার, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বোঝাই যায়নি রোগ

ফের মৃত্যু হল ঘিলুখেকো (ব্রেন ইটিং) অ্যামিবার সংক্রমণে। এবার প্রাণ হারাল দশ বছরের একরত্তি মেয়ে। এবারেও সংক্রমণের উৎস সেই সুইমিং পুল। পরিবারের সঙ্গে ছুটতে ঘুরতে গিয়েছিলে মাত্র দশ বছরের স্টেফানিয়া ভিলেমিজার গোনজালেজ। সেখানেই এই সংক্রমণের শিকার হয় একরত্তি মেয়েটি। সুইমিং পুলে স্নান করতে করতেই তাঁর শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে। এর পর দেখা দিতে থাকে অ্যামিবা সংক্রমণের পরিচিত লক্ষণগুলি। জ্বর, কানে ব্যথা, বমি হতে থাকে স্টেফানিয়ার। এই সময় তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণ কানের সংক্রমণ হিসেবেই তার পরীক্ষা করা হয়। সাময়িকভাবে আরাম পায় মেয়েটি। কিন্তু বেশিদিন সেই আরাম টিঁকল না।

(আরও পড়ুন: বিহারে নয়া আতঙ্ক চিকুনগুনিয়া! পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে WHO-এর বিশেষ দল)

কমবেশি ১৪ দিন পরেই একই উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। রীতিমতো অস্থির হয়ে ওঠে স্টেফানিয়া। এই সময় বিপদ আঁচ করে তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে যায় তাঁর অভিভাবকেরা। সেখানেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেওয়া হয় জরুরি বিভাগে। এর পর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা চলে। কিন্তু রোগের হদিস পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকরা। অবশেষে রোগিনীকে আর বাঁচানো যায়নি। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এর পর রোগটির গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলাদা করে গবেষণা শুরু হয়। দলে ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা। দীর্ঘ গবেষণার পর দেখা যায়,  স্টেফানিয়া অ্যামিবিক এনসেফালাইটিসে ভুগছিল। সেই রোগই প্রাণ কাড়ল তাঁর। 

(আরও পড়ুন: ডেলিভারি দিতে এসে তরুণীর জুতো চুরি করল ডেলিভারি বয়! অভিযোগ করতে আরও অশালীন আচরণ)

বিজ্ঞানীদের কথায়, এটি একদিকে যেমন বিরল রোগ। তেমনই আবার রোগীর মৃত্যুর হারও বেশি। ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় রোগটিকে শনাক্ত করা যায় না। যার ফলে রোগীর অকালমৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ব্রেন ইটিং বা ঘিলুখেকো অ্যামিবার আরেকটি নাম রয়েছে। তা হল নাইগ্লেরিয়া ফাউলেরি। সাধারণত জমা জলে বা পুকুরেই এই অ্যামিবা বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।

কীভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে? স্টেফানিয়ার মা টাটিয়ানিয়া তখনই সংবাদমাধ্যমকে সুইমিং পুলের কথা বলেন। সুইমিং পুলে জল নিয়ে খেলা করছিল ছোট্ট স্টেফানিয়া। সেই সময়ই সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা মায়ের। জুন মাসে এই ঘটনা ঘটে। রোগিনী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও বেশ ধন্দে ছিলেন চিকিৎসক। অবশেষে খোলসা হল রহস্য।