Cocaine recovered: ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দরে ডেনমার্কগামী জাহাজ থেকে উদ্ধার ২২০ কোটি টাকার কোকেন

ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দরে একটি জাহাজ থেকে প্রচুর পরিমাণে কোকেন উদ্ধার করল শুল্ক দফতর, যার পরিমাণ হল ২২ কেজি। এই পরিমাণ কেকেনের বাজার দর হল ২২০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পারাদ্বীপ বন্দরে নোঙর করা ওই জাহাজে হানা দেয় শুল্ক দফতর। সেখানেই ২২ টি প্যাকেটে ২২ কেজি কোকেন উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কোকেন বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দফতর।

আরও পড়ুন: ব্রাজিলের যুবকের মল থেকে মাদক উদ্ধার, এসএসকেএম বের করল হাফ কেজি কোকেন

ওড়িশার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কার্গো জাহাজটির নাম এমডি দেবী। বৃহস্পতিবার পারাদ্বীপ বন্দরের আন্তর্জাতিক কার্গো টার্মিনালে নোঙর করে। জানা যায়, জাহাজটি মিশর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। এরপর সেটি ইন্দোনেশিয়ার গ্রিসিক বন্দর হয়ে ওড়িশার বন্দরে আসে। এখান থেকে জাহাজটির যাওয়ার কথা ছিল ডেনমার্কে। পারাদ্বীপ বন্দর থেকে স্টিল প্লেট বোঝাই হচ্ছিল ওই জাহাজে। সেই সময় জাহাজের ক্রেনে সাদা রঙের প্যাকেট দেখে সন্দেহ হয় ক্রেন অপারেটরদের। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন এগুলি বিস্ফোরক জাতীয় কোনও পদার্থ। পরে তারা খতিয়ে দেখতেই বুঝতে পারেন সেগুলি হল কোকেন। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় শুল্ক দফতরে। খবর পেয়ে শুল্ক বিভাগের স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন (এসআইআইবি) দল পদার্থগুলি পরীক্ষা করে জানতে পারে যে এগুলি হল কোকেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইনে অধীনে কোকেন মাদকদ্রব্য হওয়ায় তা নিষিদ্ধ। রাজ্যের শুল্ক কমিশনার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যরাতে তল্লাশি চালিয়ে কোকেনের প্যাকেটগুলি খুঁজে পান। জাহাজটি ওড়িশা থেকে স্টিল প্লেট নিয়ে ডেনমার্কে যাওয়ার কথা ছিল। জাহাজ থেকে কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে জাহাজের ক্রু সদস্যদের আটক করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্রু সদস্যরা সকলেই ভিয়েতনামের।

জানা গিয়েছে, জাহাজটি এশিয়া প্যাসিফিক শিপিং কর্পোরেশন লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত। এর সমস্ত ক্রু সদস্য ভিয়েতনামের। জাহাজ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকদ্রব্যের সঠিক প্রকৃতি ও রাসায়নিক গঠন জানতে সরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হবে। মামলার তদন্ত চলছে বলে শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। শুল্ক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার পরেই জাহাজে আরও কোনও মাদক আছে কি না তা স্নিফার ডগের সাহায্যে তল্লাশি চালানো হয়। উল্লেখ্য, এর আগে শুল্ক বিভাগ জাহাজ থেকে প্রায় ৫ কেজি ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করেছিল।