ED officer arrested: ‘তোলাবাজির দফতর’! ‘ইডি’ অফিসার ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়তেই কটাক্ষ তৃণমূলের

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করপশন পুলিশ (দুর্নীতি দমন শাখা) এক ইডি আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে।  তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুলের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের কাছ থেকে তিনি ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগে। 

এই খবর প্রকাশ্যে আসতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের এক্স হ্যান্ডেলে, ইডি-র এনফোর্সমেন্ট কেটে দিয়ে লেখা হয়েছে এক্সটরশন (তোলাবাজি) দফতর। 

দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতার আধিকারিক দাবি করেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে কাজ করছিলেন। এই ঘটনা উল্লেখ করে তৃণমূলের প্রশ্ন, তাহলে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কী এই ভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে? নিজের দলের তহবিল সংগ্রহের কাজে লাগানো হচ্ছে?

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ইডি-র হাতে বন্দি। একধিক নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে,  বিরোধী শিবিরকে হেনস্থা করার জন্য ইডি, সিবিআই-এর মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইডি আধিকারিক ধরা পড়ার পর এক্স-এ পোস্ট দিয়ে তৃণমূল ফের এই নিয়ে সরব হলষ 

তামিলনাড়ুতে অঙ্কিত তিওয়ারি নামে ওই ইডি আধিকারিক এক চিকিৎসকের কাছে থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। তার টিম নিয়ে তিনি অবৈধ কাজ করার চেষ্টা করতেন। লোকজনকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করতেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। টাকা দিলে ইডির দায়ের করা মামলা বন্ধ করা হবে এমন কথা বলে তিনি এই কাজ করতেন বলে অভিযোগ। 

তবে অঙ্কিত আধিকারি ইডির আধিকারিক ছিলেন কী ছিলেন না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এনিয়ে কোনও বক্তব্য মেলেনি।

দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা তিওয়ারির পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। তাতে এটা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এর মেয়াদ রয়েছে। এদিকে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে নেতৃত্ব বার বারই অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে শাসকদলের নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এসব হল বিজেপির পরিকল্পনা। ২০২৪ সালের ভোটের আগে এনিয়ে বার বারই হয়রানির অভিযোগ উঠছে। তার মধ্য়েই গ্রেফতার করা হল এমন এক ব্যক্তিকে যিনি আবার ইডি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বিপুল অঙ্কের ঘুষ নিচ্ছিলেন।