Parliament winter session 2023: মহুয়া মৈত্র থেকে কেন্দ্রের বকেয়া, সংসদ শুরুর আগে সর্বদলেও চাপ বজায় রাখল তৃণমূল

সোমবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশ শুরু হচ্ছে। এই অধিবেশনের আগে নিয়মমাফিক সর্বদল বৈঠকে করলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এই সর্বদল বৈঠক থেকেই বিজেপি সরকারকে চাপে রাখল তৃণমূল। 

এই বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের দুই কক্ষের দুই সংসাদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁরা বৈঠকের পর, কী নিয়ে আলোচনা করেছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তবে সূত্রের খবর, ছ’টি বিষয় এই বৈঠকে তুলেছে ঘাসফুল শিবির। 

প্রথমেই তারা দাবি করেছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম, যথেষ্ট আলোচনার প্রয়োজন। তাদের দাবি, আলোচনা ছাড়া এই বিল যেন পাশ না করানো হয়।

বৈঠকে তৃণমূল মহুয়া প্রসঙ্গেও তুলেছে তৃণমূল। তাদের প্রশ্ন ছিল, মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট কী করে প্রকাশ্যে চলে এল। বৈঠকের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সোমবার তাদের খসড়া রিপোর্ট এথিক্স কমিটি জমা দেবে। তার আগেই মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে বহিষ্কার করা হবে।  তৃণমূলের দুই সাংসদ জানতে চান কী ভাবে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট মিডিয়ার কাছে চলে গেল?

(পড়তে পারেন। ‘‌দশ বছরে ৫০ শতাংশ মহিলাদের মুখ্যমন্ত্রী করা লক্ষ্য’‌, বড় ঘোষণা করলেন রাহুল গান্ধী) 

(পড়তে পারেন। লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখলেন অধীর, মহুয়া ইস্যুতে তুললেন বিস্ফোরক দাবি)

প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গে শনিবারই স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি , সংসদীয় কমিটিগুলির কাজের ধারা এবং নিয়ম নিয়ে পর্যালোচনা দাবি তৃলেছেন।   

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য টাকার আটকে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগ জানিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গও শনিবারের বৈঠকে তুলে ধরেন দলের দুই সাংসদ। বৈঠকে তাঁরা একশ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকে রাখা প্রসঙ্গে সংসদে আলোচনার দাবি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করে, যেভাবে কেন্দ্র একতরফা  সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এই অভিযোগ প্রসঙ্গেও আলোচনা চেয়েছে তৃণমূল। এর সঙ্গে বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসকদল।  

বৈঠকে দলের দুই সাংসদ জানান, সুষ্ঠভাবে সংসদ চলার পক্ষেই তারা। তবে আলোচনা না করে বিল পাশ করানোর মতো পদক্ষেপ যাতে কেন্দ্রের শাসকদল না নেয়, তা নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।