WB Assembly: বিধানসভা চত্বরে অনুমতি ছাড়া ধরনা, অবস্থান নয়, নির্দেশ স্পিকারের, মনে পড়ে তৃণমূলের সেই ভাঙচুর?

গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিধানসভা প্রাঙ্গনে। একদিকে থালা, বাসন কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। এমনকী তৃণমূল বিধায়করা যখন বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সংগীত গাইছিলেন তখন তার থেকে কাছেই থালা বাসন বাজিয়ে, চিৎকার করে স্লোগান দিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বিজেপি বিধায়করা সেই অভিযোগও উঠেছে। বিধানসভা চত্বরে উঠেছে চোর চোর স্লোগান। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কড়া অবস্থান নিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই বিধানসভাতেই একদিন ভাঙচুর করেছিল তৃণমূল।

আপাতত বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে বিধানসভা চত্বরে যাবতীয় ধরনা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে বিধানসভা চত্বরে আর প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ বা মিটিং, মিছিল করা যাবে না। করলে অনুমতি নিতে হবে।

এদিকে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ থামাতেই স্পিকার এমন ঘোষণা করেছেন। নির্দেশের কপি হাতে পেলেই তিনি এ ব্যাপারে যা করণীয় সেটা করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আসলে বুধ ও বৃহস্পতিবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বিধানসভা চত্বরে। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরে বিআর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধর্না অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তৃণমূল বিধায়করা। কালো জামাকাপড় ছিলেন তাঁরা।

এদিকে পালটা হিসাবে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে থালা বাজান বিজেপি বিধায়করা। এমনকী আম্বেদকরের মূর্তি ধুয়েও দেন তাঁরা।

এরপর শুক্রবার স্পিকার বলেন, সিঁড়ির সামনে বসে মানুষের যাতায়াতে বাধা দিয়েছিল ওরা। সেই সঙ্গে এমন অঙ্গভঙ্গি করছিল যে আমাদের শান্তিভঙ্গের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। সেকারণে একটা অর্ডার দিয়ে বলেছি আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের চত্বরের মধ্য়ে কেউ যদি ধর্নায় বসতে চান মিটিংয়ে বসতে হয় তবে আমার কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে।

এদিকে স্পিকারের এই মন্তব্যের পরে অনেকের আবার মনে পড়ে যাচ্ছে সেই ২০০৬ সালের ৩০ শে নভেম্বরের কথা। সেদিন এক অভূতপূর্ব ঘটনা হয়েছিল বিধানসভায়।সিঙ্গুর আন্দোলন চলাকালীন তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূলের নেতা, বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিধানসভা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল।

তবে এনিয়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অবশ্য বলেছিলেন, ভাঙচুর তো দূর অস্ত বিধানসভার কোনও আসবাবে তিনি সেদিন হাত দেননি। তিনি বলেছিলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি। আমি যদি কিছুতে হাত দিয়ে থাকি প্রমাণ করুন। তবে বিরোধীরা মমতার দাবি কোনও দিনই মানেন না। তবে বর্তমানে শাসকদলে তৃণমূল। এবার স্পিকার ঘোষণা করলেন, চত্বরের মধ্য়ে কেউ যদি ধর্নায় বসতে চান মিটিংয়ে বসতে হয় তবে আমার কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে।