‘‌আর কোনও শহর ভোপাল হয়ে উঠবে না’‌, জয় নিশ্চিত বুঝেই বার্তা দিলেন শিবরাজ

মধ্যপ্রদেশে সকাল থেকেই জোর টক্কর চলছে বিজেপি–কংগ্রেসের মধ্যে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বুঝিয়ে দিচ্ছিল সহজে জমি ছাড়া হবে না। কিন্তু কংগ্রেস শুরুতে কিছুটা দাপট দেখালেও বেলা বাড়তেই খেলা ঘুরতে শুরু করে মধ্যপ্রদেশে। মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠনের জন্য দরকার ১১৬টি আসন। কংগ্রেসকে পর্যুদস্ত করে সেদিকেই এগোচ্ছে বিজেপি। শিবরাজ সিং চৌহান এখন বেশ উল্লসিত। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। তবে ছত্তিশগড় এবং তেলাঙ্গানাতে জোর টক্কর দিচ্ছে কংগ্রেস। এই আবহেই জয়ে নিশ্চিত বুঝে বার্তা দিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। যা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

এদিকে মধ্যপ্রদেশে মোট আসন ২৩০টি। এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে গেলে জিততে হবে ১১৬টি আসনে। এটাই জাদু সংখ্যা। প্রাথমিক ট্রেন্ডে সেই ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া শিবির এগিয়ে ১৩০টি আসনে। আরও এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেস ৯৮টি আসনে এগিয়ে থাকায় লড়াই জোর চলছে। অন্যান্যরা ২টি আসনে এগিয়ে আছে। লেটেস্ট ট্রেন্ড বলছে বিজেপি এখন এগিয়ে ১৪৩টি আসনে। মধ্যপ্রদেশ–রাজস্থানে শুরু থেকেই এগিয়ে বিজেপি। তেলাঙ্গানায় শাসকদল বিআরএসকে পিছনে ফেলে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে। ছত্তিশগড়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে চলছে জোর লড়াই চলছে।

অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান কংগ্রেসের চিন্তা বাড়লেও তেলাঙ্গানা হাসি ফোটাচ্ছে। ভোটের ফলাফলের প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখে মনে হচ্ছে কুর্সি দখল করবে কংগ্রেস। কারণ এই রাজ্যে ১১৯ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তাতে কংগ্রেস ম্যাজিক ফিগার ৬০টি আসনের বেশিতে এগিয়ে রয়েছে। সেখানে কেসিআরের দল বিআরএস এগিয়ে ৩৯টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে মাত্র ৬ আসনে। দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্ত্রেই কি মধ্যপ্রদেশে বাজিমাত ‘মামা’ শিবরাজ সিং চৌহান? মধ্যপ্রদেশ ‘লাডলি বহনা’ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন শিবরাজ। কংগ্রেস সেই প্রকল্পে টাকা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও মহিলারা বিজেপিকেই বেছে নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনেও বড় ভূমিকা ছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’‌, এবার সরাসরি স্পিকার বিমানকে আক্রমণ দিলীপের

এই আবহে বার্তা দিয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। মধ্যপ্রদেশে জয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে শিবরাজ বলেন, ‘‌আজও ১৯৮৪ সালের ২ আর ৩ ডিসেম্বরের ঘটনা মনে পড়লে আমরা কেঁপে উঠি। গ্যাস দুর্ঘটনায় হাজার হাজার ভাইবোনকে হারিয়েছি। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় পাগলের মতো ছুটছিলেন মানুষ। দৌড়তে গিয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। ভোপালের ওই ভয়ানক দৃশ্য ভোলার নয়। সকলকে আমার প্রণাম, শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের সংকল্প, আর কোনও শহর ভোপাল হয়ে উঠবে না। এমন গ্যাস দুর্ঘটনা সারা পৃথিবীতে আর যেন কখনও না হয়। প্রকৃতি নিয়ে আমরা এমনভাবে আর কখনও খেলব না। তার জন্য উন্নয়ন আর প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। উন্নয়ন যেন প্রাণঘাতী না হয়ে ওঠে। এই পৃথিবী সকলের জন্য। আগামী প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবীকে আমরা সুন্দর করে তুলব।’‌