রাজশাহী গিয়ে পদ্মার চরে ঘুরতে যায় সাত শিক্ষার্থী। তবে ফেরার পথে ঘটে বিপত্তি, তারা আটকে পড়েন চরে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চাইলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থার গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তারা সাত জন দশম শ্রেণির ছাত্র। নীলফামারীর সৈয়দপুর সদর থেকে ট্রেনে করে রাজশাহী যায় বেড়াতে। রাজশাহীতে পৌঁছে একটি ট্রলারে করে পদ্মা নদীর খানকার চরে ঘুরতে যায় তারা।
ট্রলারটি তাদের চরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। কথা ছিল ঘোরাঘুরি শেষে ট্রলার চালককে ফোন করলে তাদের নিয়ে যাবে। কয়েক ঘণ্টা চরে ঘোরাঘুরি করে ট্রলার চালককে ফোন করে তারা। তবে নানা অজুহাতে ট্রলারচালক আর আসেননি।
ইতোমধ্যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। চরে এক কৃষকের কাছ থেকে জানতে পারেন ট্রলার চালকের উদ্দেশ্য খারাপ হলে তাদের রাতে নিতে আসবে এবং তাদের জিনিসপত্র, টাকা-পয়সা সব লুট করে নিতে পারে। ভয় পেয়ে নয়ন নামে এক ছাত্র শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
৯৯৯-এ কল রিসিভ করা কনস্টেবল সজীব রাজশাহীর মতিহার থানায় ও রাজশাহী নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে বলেন। সংবাদ পেয়ে রাজশাহী রিজিওন নৌ পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল খানকার চরে গিয়ে আটকে পড়া সাত ছাত্রকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়।