‘‌রাজ্যের সম্পদ বিক্রির ম্যান্ডেট পেলেন মোদী সরকার’, ইনসাফ যাত্রা থেকে তোপ মীনাক্ষীর‌

আজ, রবিবার চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পাচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিন রাজ্যের কুর্সিতে বসছে বিজেপি। আর একটি রাজ্যে কংগ্রেস। তবে তেলাঙ্গানায় কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল না। সেখানে ক্ষমতায় তারা এল। এখন বিজেপির রাজ্য নেতারা এখানে চার হাত–পা তুলে নাচছেন। বলছেন, উৎসাহ পাবে কর্মীরা, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ২০২৬ সাল পর্যন্ত থাকবে না, লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে নরেন্দ্র মোদী। এতকিছু বললেও বিজেপির এই জয়কে তুলোধনা করলেন সিপিএমের যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

এদিকে বিজেপির এই জয়কে সম্পদ বিক্রির ম্যান্ডেট বলে কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেত্রী। মীনাক্ষী বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, ‘‌চার রাজ্যে নতুন করে কাজ হবে না। চার রাজ্যের সম্পদ বিক্রি করার জন্য মোদী সরকার ম্যান্ডেট পেয়ে গেলেন। মানুষ ভুল করেছেন তো বলতে পারি না। তবে অতি দ্রুত মানুষের ভুল ভাঙবে।’‌ সুতরাং বিজেপি এখন এই জয় নিয়ে যতই উল্লসিত হোক না কেন ওই সব রাজ্যের মানুষের উন্নতি ঘটবে না বলেই দাবি করলেন লালপার্টির নেত্রী। উলটে সেইসব রাজ্যের সম্পদ বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে ডিওয়াইএফআই’‌র রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানান, আগামী দিন ব্রিগেড ময়দানের সভা থেকে সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে। আজ, রবিবার সংগঠনের রাজ্যব্যাপি ইনসাফ যাত্রার ৩১ তম দিনে তালডাংরায় পৌঁছে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানার নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‌এই জয়ে মানুষের কোনও লাভ হবে না। বরং ওই রাজ্যগুলির সম্পদ বিক্রি হয়ে যাবে। তাতে আক্ষেরে দেশের এবং ওইসব রাজ্যের ক্ষতিই হবে। তবে মানুষ দ্রুত ভুল বুঝতে পারবেন। আর নতুন করে প্রস্তুতি নেবেন।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মডেল‌’‌, কলকাতায় দেওয়াল লিখন থেকে আওয়াজ তুললেন কুণাল

এদিন তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি দুই সরকারকেই আক্রমণ করেন মীনাক্ষী। ‘‌ইনসাফ যাত্রা’‌ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মীনাক্ষী বলেন, ‘‌এই রাজ্যের মানুষ প্রত্যেকটা দিন খিদের জ্বালায়, চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণায় ভূগছে। আর বিচার পাচ্ছেন না। মানুষ ইনসাফ চাইছেন। আর সেই ইনসাফ যাত্রায় মানুষ পা মেলাচ্ছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তালডাংরার মানুষ ইনসাফ যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করেছেন। আর এটা শুধু ভাষণ শোনার জন্য নয়। ইনসাফের দাবিতে লড়বেন বলে।’‌ আগামী ৭ জানুয়ারী ডিওয়াইএফআই’‌র ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাম যুব নেত্রীর স্পষ্ট জবাব, ‘‌জটিলতা জটিলতার জায়গায় আছে। আর ব্রিগেড সমাবেশ হবেই। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার ৩২২টি স্কুল বন্ধ আছে। একহাজার দিন মেধাবীরা রাস্তায় বসে আছেন। আর বখাটে ছেলেগুলি তৃণমূলকে টাকা দিয়ে চেয়ারে বসে আছে। এখন ওই চেয়ার ফাঁকা করে মেধাকে সেখানে বসাতেই এই লড়াই।’‌