ED official arrested: ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের নির্দেশেই ঘুষ নিয়েছিলেন, জেরায় জানালেন ধৃত ED অফিসার

লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত জোরদার করছে ইডি। সেই আবহে তামিলনাড়ুতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ইডির অফিসার অঙ্কিত তিওয়ারি। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের নির্দেশেই টাকা নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এক ডাক্তারের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ভিজিল্যান্স এবং দুর্নীতি দমন অধি দফতর (ডিভিএসি)। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন: ইডির সঙ্গে সিবিআই খুব বেশি যোগাযোগ রাখেনি, সমন্বয়ের অভাব নিয়ে ভর্ৎসনা বিচারপতির

অভিযোগকারী ড: টি সুরেশ বাবুর সঙ্গে তিওয়ারির বেশিরভাগ কথোপকথন মেডিকোর গাড়ির ভিতরের একটি ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছিল। তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল থেকে ওই ইডি অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, মাদুরাই ইডি অফিসে অফিসার হিসাবে কাজ করছিলেন অঙ্কিত। ডিভিএসির আধিকারিকদের একটি দল মাদুরাইয়ের ওই ইডি অফিসে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। সেই সময় ইডি অফিসের বাইরে মোতায়েন ছিল রাজ্য পুলিশ। ওই ইডি অফিসার অক্টোবরে ডিন্ডিগুলের ওই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি তার বিরুদ্ধে একটি ভিজিল্যান্স মামলার কথা উল্লেখ করেন। অথচ সেই মামলাটির ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়েছে। অঙ্কিত ওই ডাক্তারকে জানিয়েছিলেন, তদন্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ এসেছে। অঙ্কিত তাকে ৩০ অক্টোবর মাদুরাইতে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলেন।

সেই মতো ইডি অফিসে হাজিরা দেন ওই ব্যক্তি। তখন অঙ্কিত তাকে মামলায় আইনি পদক্ষেপ এড়াতে ৩ কোটি টাকা দিতে বলেছিলেন। পরে ৫১ লক্ষ টাকায় দফারফা হয়। তিনি গত ১ নভেম্বর অঙ্কিতকে ঘুষের প্রথম কিস্তি হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা দেন। পরে অঙ্কিত হোয়াটসঅ্যাপ কল এবং টেক্সট বার্তার মাধ্যমে বেশ কয়েকবার ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তাকে ৫১ লক্ষ টাকাই দিতে হবে। নাহলে তাকে আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে। এরপর ওই ডাক্তারের সন্দেহ হওয়ায় তিনি বৃহস্পতিবার ডিন্ডিগুল জেলা ভিজিল্যান্স এবং দুর্নীতি দমন ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর শুক্রবার ডাক্তারের কাছ থেকে অঙ্কিত আরও ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় গোয়েন্দারা অঙ্কিত তিওয়ারিকে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে তাঁকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একই পদ্ধতি অবলম্বন করে অন্য কাউকে ব্ল্যাকমেল বা হুমকি দিয়ে ঘুষ নিয়েছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে ইডির আরও কোনও অফিসার জড়িয়ে আছে কিনা সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।