Kalighat Skywalk: ডিসেম্বরেও শেষ হবে না কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ, কেন দেরি? জানাল সংস্থা

কালীঘাটে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। কিন্তু, বহু প্রতীক্ষিত সেই স্কাইওয়াক তৈরি কবে শেষ হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। প্রথমে এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেও বেশ কয়েক দফায় কাজ শেষ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। শেষে চলতে বছরের ডিসেম্বরে মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। কিন্তু, এখনও যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে তাতে আগামী বছরের বৈশাখের মধ্যেও শেষ হবে না বলেই জানিয়েছে নির্মাণ সংস্থা।

আরও পড়ুন: বর্ষার আগে কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনওভাবেই ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়া সম্ভব নয়। নির্মাণকারী সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, বৈশাখের মধ্যেও কাজ শেষ হওয়া সম্ভব নয়। ওই সময় যদি স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হয় তাহলেও ১০ শতাংশ কাজ বাকি থেকে যাবে। এই দেরি হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। যার মধ্যে একটি হল পুরসভার বিল মেটাতে দেরি করছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা। তাদের বক্তব্য, ঠিক সময়ই টাকা দেওয়া হচ্ছে। পালটা নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধেই কাজে ঢিলেমি করার অভিযোগ তুলেছে পুরসভা।

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়। এপ্রিলে কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনে নির্মাণকারী সংস্থাকে সরিয়ে পূর্ত দফতরকে দিয়ে বাকি কাজ করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপরে ফিরহাদ হাকিম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। মুখ্য সচিবও এ নিয়ে একাধিক শীর্ষ অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, ওই এলাকায় কাজ করতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাদের দাবি, ওই এলাকায় বহু পুরনো পাইপলাইন রয়েছে, তাছাড়া এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এছাড়াও রয়েছে কালীঘাট মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের ভিড়। পাশাপাশি দুর্গাপুজোয় মণ্ডপ তৈরির জন্য বেশ কিছু দি‌ন নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। উল্লেখ্য, কালীঘাট স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য হবে ৫০০ মিটার এবং চওড়া হবে ১০ মিটার। এই স্কাইওয়াক তৈরিতে ৮০ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডের দিকে যাবে এই স্কাইওয়াক।