ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত, মৃত ১১, নিখোঁজ ১২

পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার একটি আগ্নেয়গিরিতে রবিবার থেকে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। তার জেরে এখনও পর্যন্ত ১১ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন ১২ জন। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে মৃত এবং জীবিতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ অগ্ন্ৎপাতের কারণে ইতিমধ্যে আশেপাশের এলাকা খালি করে দিয়েছে প্রশাসন। সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি পর্বতে রবিবার থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত! আকাশে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাইয়ের মেঘ, হতবাক রাশিয়া

মাউন্ট মারপি পর্বতের শৃঙ্গের উচ্চতা ২৮৯১মিটার। সেখানে অগ্ন্যুৎপাতের পর আকাশ ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। ৩ কিলোমিটার অবধি দেখা গিয়েছে ধোঁয়া। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে আশেপাশের গ্রামগুলিতে ছাই ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণহানির আশঙ্কায় আশেপাশের গ্রামবাসীদের সেখান থেকে সরানো হয়েছে। পাডাং সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আবদুল মালিক একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, শনিবার থেকে পাহাড়ে মোট ৭৫ জন পর্বতারোহী ছিলেন।

যারমধ্যে অগ্ন্যুৎপাতের পরেই ৪৯ জন পর্বতারোহী অক্ষত অবস্থায় নিচে নেমে আসেন। এরপর খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে। রাতভর উদ্ধার কাজ চালিয়ে মৃত এবং জীবিতদের উদ্ধার করে। এখনও নিখোঁজ থাকা ১২ জনের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের প্রধান রুডি রিনাল্ডি জানান, উদ্ধার হওয়া পর্বতারোহীদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গরম লাভার সংস্পর্শে আসার কারণে তাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।

মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরিটি ইন্দোনেশিয়া এবং জাভাতে ফায়ার মাউন্টেন বলেও পরিচিত। মধ্য জাভা এবং যোগিয়াকার্তা প্রদেশের সীমান্তে অবস্থিত এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ১৫৪৮ সাল থেকে সেখানে নিয়মিতভাবে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে।ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়ে অবস্থিত। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এখানে মাঝেমধ্যে ভূমিকম্প হয়ে থাকে।উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর সুমেরু পর্বতে প্রবল অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল। তাতে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার বাড়ি। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।