Amit Fulay post: Google-এর ইন্টারভিউয়ে ১৩ বার ফেল! হার না মানার গল্প শোনালেন Microsoft-এর VP অমিত

তরুণ বয়স মানেই ভালো চাকরির জন্য চেষ্টা। প্রথম ইন্টারভিউ দেওয়া। আর বেশিরভাগ সময় ইন্টারভিউয়ে ফেল করা। ইন্টারভিউয়ে ফেল করার অভিজ্ঞতা হয়নি, এমন ব্যক্তি খুব কমই রয়েছে। খুব সফল ব্যক্তিরাও এই সমস্যায় বারবার পড়েছেন। মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিত ফুলেও তাঁর ব্যতিক্রম নন। সম্প্রতি তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। তরুণদের উৎসাহ দিতে এই দিন নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতেই তাঁর চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা জানান তিনি।

(আরও পড়ুন: নিরাপদ নয় মেলও! এক ক্লিকে উধাও হতে পারে ব্যাঙ্কের টাকা! বাঁচবেন কীভাবে)

পোস্টের গোড়া থেকেই তিনি লেখেন তাঁর প্রত্যাখ্যানের অভিজ্ঞতার কথা। মোট কতবার কোন কোন ইন্টারভিউতে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তা এইদিনের পোস্টে লেখেন তিনি। পোস্টের গোড়াতেই তিনি লেখেন স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা। স্কুলে থাকাকালীন মাইক্রোসফটের সামার ইন্টার্নশিপের জন্য ইন্টারভিউ দেন অমিত। সেখানে রিজেক্টেড অর্থাৎ প্রত্যাখ্যাত হন।

গুগলে ইন্টারভিউ দিয়ে একবার দুবার নয়, ১৩ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তিনি। প্রতিবারই তিনি দুই রাউন্ডে ইন্টারভিউ দেন। এক বছর পর তাকে ফের ডাকা হয়েছিল। মহিলা ইন্টারভিউয়ার সেদিন অসুস্থ ছিলেন। তাই মাত্র আট মিনিট সেই ইন্টারভিউ চলে। তাঁর এক সপ্তাহ পর ফের রিজেকশনের মেল পান তিনি।

(আরও পড়ুন: টাইপ ৩ ডায়াবিটিসই নাকি মস্তিকের এক কঠিন রোগের কারণ! কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা)

শুধু গুগল নয়, ফেসবুকেও তিনি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তখনও এত বিখ্যাত হয়নি ফেবু। ইন্টারভিউয়ে তাকে বাতিল করে দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে তাঁকে জানানো হয়, সমাজ সম্পর্কে তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই। মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার আগে তিনি এক্স-এ (যা আগে টুইটার ছিল) ইন্টারভিউ দেন। সেখানে সব ঠিকঠাক হওয়ার পর তাঁকে অন্য পদে কাজ করতে বলা হয়।

জীবনের এই অভিজ্ঞতার কথা বলে অমিত তরুণদের উৎসাহ দেন। তিনি বলেন জীবনে পাঁচটি কথা সবসময় মনে রাখতে। তাহলে প্রত্যাখ্যাত হলেও মানসিক জোর কমবে না।

  • প্রত্যাখ্যানটাই শেষ কথা নয়! কারণ একটা পথ বন্ধ হলেও অন্য পথ খোলা থাকে। এক্ষেত্রে নিজের উদাহরণ দেন অমিত।
  • তুমি একা নও। এমন অভিজ্ঞতা আরও অনেকেরই হয়েছে বলে জানান তিনি। অনেক সফল ব্যক্তিরও!
  • কখনও কখনও নিজের খামতি থাকতেই পারে! সেক্ষেত্রে নিজেকে নতুন করে তৈরি করতে হবে।
  • সবসময় তুমি ওই পদের জন্য যোগ্য নাও হতে পারো। হয়তো সত্যিই অন্য কেউ বেশি যোগ্য। ব্যাপারটা স্রেফ ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
  • অনেকসময় এই প্রত্যাখ্য়ানটাই ভালো। যেমন এক্স-এ ইন্টারভিউয়ের ঘটনাটা তার পক্ষে একদিকে ভালো হয়েছে বলেই মনে করেন অমিত।