Mamata on State anthem: ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গাইলেই উঠে দাঁড়াতে হবে, বার্তা মমতার

এবার থেকে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে গাওয়া হবে রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এই গান গাওয়ার সময় উঠে দাঁড়াতেও হবে। সোমবার বিধানসভায় মিউজিয়াম উদ্বোধনে এই বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভা রাজ্য সঙ্গীত সংক্রান্ত বিল পাশ হয়। ররীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে বেছে নেওয়া হয় রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে। 

সোমবার বিধানসভা মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ও অন্যান্য বিধায়করা   সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সবাইকে রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গাইতে বলেন মমতা। গানের সময় সবাইকে উঠেও দাঁড়াতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখান থেকেই শুরু হল রীতি। এবার থেকে রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার সময় উঠে দাঁড়াতে হবে সবাইকে। 

চলচ্চিত্র উৎসবেব উদ্বোধনী মঞ্চেও এই গান গাওয়া হবে বলে এদিন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

(পড়তে পারেন। এবারও হচ্ছে না পৌষমেলা, বৈঠকের পর জানাল বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট) 

(পড়তে পারেন। ‘ইন্ডিয়া জোটের মিটিংয়ের কথা কেউ জানায়নি, আমি জানি না,’ একী বললেন মমতা! যাচ্ছেন ভাইপোর বিয়েতে) 

রাজ্য সঙ্গীতের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয়। গানটি গাওয়ার ক্ষেত্রে ‘লিড’ দেওয়ার জন্য বাবুল সুপ্রিয় ও ইন্দ্রনীল সেনকে এক সঙ্গে মঞ্চে গাইতে অনুুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিক কালে দুই বিধায়কের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে তাঁরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গান। গান শেষ হলে তাঁরা দুজনে মঞ্চ থেকে নেমে যান। 

গুজরাত, কর্নাটক, ছত্তিশগড় , মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং উত্তরাখণ্ডের রাজ্য সঙ্গীত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কোনও রাজ্য সঙ্গীত ছিল না। বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। 

(পড়তে পারেন। সারাদুনিয়ায় কমছে বই পড়ার চল, ব্যতিক্রমী কলকাতায় স্টল বাড়ছে বইমেলায়!) 

এদিন বিধানসভার অনুষ্ঠানে গানটি গাওয়া হয়। সূত্রের খবর, গানটি যাতে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে গাওয়া হয়, সে ব্যাপারের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক তরফে এ ব্যাপারে দফতরগুলিতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে।